এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জিএসটি নিয়ে নয়া ভাবনায় কেন্দ্র সরকার, জেনে নিন

জিএসটি নিয়ে নয়া ভাবনায় কেন্দ্র সরকার, জেনে নিন


সারা ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিএসটি শুরু হওয়ার পরে বিভিন্ন সময় পরিকল্পনায় বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। আর এবার আবার জিএসটির ক্ষেত্রে দুই ধাপের বদলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গেল কেন্দ্র সরকারকে।

সম্প্রতি রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি দেখা গিয়েছে, তা পূরণ করার জন্যই জিএসটির ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, 10 থেকে 20 শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি ধাপের পরিবর্তন আনতে পারে ভারত সরকার। পাশাপাশি 18 শতাংশের ধাপের কিছু জিনিস 28 শতাংশের দিকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর।

সম্প্রতি সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের অর্থব্যবস্থা গভীর মন্দার মুখে পড়েছে। আর সেই কারণেই দেখা যাচ্ছে, জিএসটি সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বেশকিছু ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সরকারকে। তবে এক্ষেত্রে দেখা গেছে, অন্যান্য মাসের তুলনায় গত নভেম্বর মাসে জিএসটির সংগ্রহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কোষাগারের ব্যাপক ঘাটতি পূর্ণ করা কার্যত অসম্ভব। তাই অর্থনৈতিক ঘাটতির কথা মাথায় রেখে কিছু জিনিসে জিএসটি ধাপের ক্ষেত্রে পুনঃনির্বাচনের কথা ভাবছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

বলাই বাহুল্য, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম জিএসটি ধাপের জিনিসগুলোকে বেশি জিএসটি ধাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বস্তুত, বর্তমান সময়ে 1300 জিনিস এবং সেই সঙ্গে 500 টি পরিষেবা যথাক্রমে 15 শতাংশ, 12 শতাংশ 18 শতাংশ এবং 20 শতাংশ জিএসটি করের আওতাভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে আবার সোনার উপরে 3% জিএসটি বলবৎ করা হয়েছে। সেমি প্রেশার স্টোনের ক্ষেত্রে 0.25% জিএসটি বসানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার বেশ কিছু জিনিসের জিএসটি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে খবর। আর এগুলোর মধ্যে মোবাইল ফোন, দামি ধাতু ইত্যাদি জিনিস রয়েছে। অর্থমন্ত্রকের তরফে খবর অনুযায়ী, মোবাইল ফোনের জিএসটি 12 শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে 18 শতাংশ এবং দামী ধাতুর জিএসটি 3 শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে 5% পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার।

এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, জিএসটি কর বাড়িয়ে হয়ত দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তবে বাজারের ক্ষেত্রে যদি জিএসটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু তার সরাসরি প্রভাব বিক্রি হওয়া দ্রব্যগুলোতে পড়তে পারে। যাতে করে আগামী দিনে গ্রাহকদেরকেও বেশি দাম দিয়ে ওই সমস্ত জিনিস ক্রয় করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে জিনিসপত্র বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারেন ব্যবসায়ীরা।

দেশের অর্থনীতিতে যা মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছে একাংশ। তবে অনেকের মতে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই নতুন কিছু নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় জিএসটি ছাড় দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মত অর্থনীতিবিদদের। এখন শেষ পর্যন্ত জিএসটি এবং সেই সংক্রান্ত পরিবর্তন কি হারে বৃদ্ধি পায় এবং তার পরিণাম দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে কিভাবে পড়ে! সেদিকেই লক্ষ থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!