এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মমতাকে রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনের “সমগোত্রীয়” করে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া চমক রাজ্যপালের!

এবার মমতাকে রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনের “সমগোত্রীয়” করে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া চমক রাজ্যপালের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যেদিন থেকে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছেন জগদীপ ধনকার, সেদিন থেকেই নানা বিষয়ে মুখ খুলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে তাকে। শিক্ষাব্যবস্থা হোক বা আইন-শৃঙ্খলা, সরকারের সঙ্গে তার দ্বৈরথ এবং তার পরবর্তীতে আবার কিছুটা সমাধান হয়েছে। কিন্তু সমাধানের পর আবার তৈরি হয়েছে সমস্যা। ফের মুখ খুলে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন সাংবিধানিক প্রধান।

সম্প্রতি রাজ্যপালের মুখ থেকে শোনা গেছে রাজ্য সরকারের বিরোধী বক্তব্য। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করা হয়েছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যপাল যে ভাষায় কথা বলছেন, তা বিজেপির ভাষা। একজন সাংবিধানিক পদে থেকে এই রকম মন্তব্য রাজ্যপাল করতে পারেন না।

স্বভাবতই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আসার পর কার্যত ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। তবে যেটা কল্পনা করা হয়েছিল, তার কার্যত 180 ডিগ্রী ঘুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অমর্ত্য সেনের সঙ্গে একই আসনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসালেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলঘরিয়ায় শহীদ রাজেশ ওরাংয়ের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে যান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল‌। আর সেখানেই বীরভূমের মাটিকে পবিত্র মাটি বলে উল্লেখ করে মনীষীদের নামের সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যপাল বলেন, “বীরভূমের মাটির সমৃদ্ধশালি। এখানে খনির ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া এখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছেন। 51 টির মধ্যে পাঁচটি সতীপীঠ রয়েছে। তাছাড়া নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানকারই। এখানে গীতগোবিন্দ লেখা হয়েছিল। এমন কোনো জীবনদর্শন নেই, যা এই জায়গা থেকে শুরু হয়নি।”

আর রাজ্য সরকারের সঙ্গে যখন রাজ্যপালের তীব্র মতানৈক্য চলছে, ঠিক তখনই বীরভূমের মাটিতে এসে রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেনের মত ব্যক্তিত্বদের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন রাজ্যপাল, তাতে নয়া সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের তরজা যে পর্যায়ে গিয়েছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।

তাই এমতাবস্তায় এদিন বীরভূমে শহীদকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে মনীষীদের সঙ্গে এক আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে সরকারের প্রতি কি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেভাবে জাগদীপ ধনকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

অনেকেই এই ঘটনায় বিরক্ত প্রকাশ করছেন। তাই এবার সেই দ্বৈরথে রাশ টানতেই রাজ্যপাল বীরভূমে এসে সেখানকার মাটিকে পবিত্র বলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন। এখন রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে দূরত্ব কতটা কমে এবং আদৌ কমে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!