যাদবপুরের পর এবার আরেকটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও আসতে বাধা রাজ্যপালকে, জোর বিতর্ক! কলকাতা রাজ্য December 27, 2019 সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যার ফলে অনুষ্ঠানে থাকার ইচ্ছে সত্ত্বেও তাকে সেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হয়। যা নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়ায় বিভিন্ন মহলে। আর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাগানবাড় হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে আসতে বললেও, বারণ করে দেওয়ার ঘটনা চরম নজির সৃষ্টি করল। জানা গেছে, এই স্কুলের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শুক্রবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যার বিষয়বস্তু ছিল, “দ্বিজন্ম জন্মশতবার্ষিকীতে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রাসঙ্গিকতা।” আর এই আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, রাজ্যের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রথমে আমন্ত্রণের চিঠি পাঠিয়ে এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে রাজ্যপালের কাছে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনিবার্য কারণে এই আলোচনা সভা তারা বাতিল করে দিচ্ছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই রাজ্যপাল যেন না আসেন। আর যাদবপুরের পর একটি স্কুলের তরফে আমন্ত্রণ পেয়েও যেভাবে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজ্যপালকে আসতে না করে দিলেন, তা নিয়ে এবার ছড়িয়ে পড়েছে বিতর্ক। একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তাকে না আসতে বলার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে! বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে এমনটাই কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেন, রাজ্যপালকে আসতে না করে দেওয়া হল! এদিন এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার ভৌমিক বলেন, “অনিবার্য কিছু কারণে আমরা এই আলোচনাসভা স্থগিত রেখেছি। তাই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে অন্য অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে।” তবে প্রধান শিক্ষক যে কথাই বলুন না কেন, বিশ্লেষকরা বলছেন, পরোক্ষে তৃণমূল নেতারাই রাজ্যপাল যাতে এই অনুষ্ঠানে না আসেন, তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে সেই অনুষ্ঠানকে বাতিল করিয়েছেন। আর শাসক দলের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কথায় কথা মেলাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা না থাকলেও, এরকম কাজ করতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছে সমালোচক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -