প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নেপাল জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে রীতিমত পালিয়ে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছেন মন্ত্রীরা। একের পর এক মন্ত্রী আজ সকাল থেকেই পদত্যাগ করতে শুরু করেছিলেন। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি অনুভব করে নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। পরবর্তীতে পদত্যাগ করেন নেপালের রাষ্ট্রপতিও। আর সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পর্যন্ত যখন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা, ঠিক তখনই রেহাই পেল না রাষ্ট্রপতির বাসভবনও।

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিষিদ্ধকরনের প্রতিবাদে উন্মত্ত জনতার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নেপালে। যদিও বা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা একটা কারণ মাত্র। নেপালের সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের একটা পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ছিল। আর এই কারণকে হাতিয়ার করেই মানুষ তাদের প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেছেন। যার ফলে মসনদ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন মন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদত্যাগ করে দিয়েছেন। তবে সেই রাষ্ট্রপতি ভবনেও ঢুকে রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রপতি ভবনের বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা নেপাল জুড়ে। প্রথমে জনতার বিক্ষোভ, তারপরে সরকারের পদত্যাগ, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ। অতীতে এই দুই দেশের ক্ষেত্রে একই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। আর এবার নেপালও সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে এবং যেভাবে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না, তাতে নেপালের প্রশাসনিক স্থিতাবস্থা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে উন্মত্ত জনতার বিক্ষোভ কখন স্তব্ধ হয় এবং সেনাবাহিনী নিজেদের হাতে দায়িত্ব নেওয়ার পর কতটা সামাল দিতে পারে নেপালের পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।