প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যারাই বিজেপি করবে, যারাই বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, তাদেরকেই হয় পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে, আর তা না হলে তৃণমূল নেতারা নিজেদের লোকেদের দিয়ে সেই প্রতিবাদীর কণ্ঠরোধ করতে সব রকম চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যেই মালদহে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে পার্টি অফিসে নিয়ে এসে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আশ্চর্যের বিষয়ে এটাই যে, কাকলিদেবী শুধু তৃণমূলের কাউন্সিলর নন। তিনি ইংরেজবাজার পৌরসভার তৃণমূলের যিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন, সেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সহধর্মিনীও বটে। স্বাভাবিকভাবেই একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হয়েই কি করে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে এইভাবে মারধর করলেন, শুধুমাত্র তার বাবা বিজেপি করেন বলেই কেন তাকে পার্টি অফিসে নিয়ে এসে এইভাবে মারধর করা হলো, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এসবের মধ্যেই সেই অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, গতকাল থেকেই মালদহের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়েও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এক ছাত্রকে তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরীর অনুগামীরা পার্টি অফিসে ডেকে আনেন বলে অভিযোগ। আর সেখানেই তাকে তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী মারধর করেন। পরবর্তীতে তার অনুগামীরা বেধরক মারধর করেন সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, তার বাবা বিজেপি করেন, এটাই তার অপরাধ। আর সেই কারণেই তাকে পার্টি অফিসে নিয়ে এসে মারধর করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার অভিযুক্ত সেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে এমন তথ্য ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যাতে সেই তৃণমূল কাউন্সিলর তো বটেই, তার স্বামী, যিনি ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান, তিনিও রীতিমত লজ্জায় পড়ে যাবেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

এদিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে মারধর কান্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরের যে কীর্তি, সেই বিষয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “চেয়ারম্যানের স্ত্রী তো গুন্ডা। এটা সবাই জানে। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, তিনি নিজে বাড়িতে ভয়ে থাকেন। আমার কাছে খবর আছে। তার বউয়ের ভয়ে তিনি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান। আর বাকিটা বলছি না। আপনার মালদার লোক ভালো জানেন, তিনি কার বাড়িতে যান। আর ওই মহিলার যে মুখের ভাষা, সেটা পাড়ার সবাই জানে। ও তো গুন্ডা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।”