প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে অবৈধ বাংলাদেশিতে গোটা রাজ্য ভরে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর এবার তাদের অভিযোগকে সত্যি করেই গুজরাট থেকে পালিয়ে এসে যেভাবে ৮ অবৈধ বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল, তাতে এই রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করল বড়সড় প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সবথেকে নিরাপদ বলে দাবি করেন, তার মুখোশটাও খুলে গেল বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ৮ জন বাসিন্দা বেআইনি পথে প্রথমে ভারতে এসেছিল। প্রথমে তারা বাংলাকেই বেছে নিয়েছিল মুর্শিদাবাদে রাণীনগর থানায় এলাকায় বেশ কিছুদিন আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মত জাল নথি তৈরি করে তারা সেখানে বাস করছিল। পরবর্তীতে গুজরাটে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সময় তারা বুঝতে পারেন যে, সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর তার পরেই ভয়ে তারা সেখান থেকে আবার মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন।

এদিকে তারা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বেশ কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে গত শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এমনকি তাদের সঙ্গে থাকা একজন ভারতীয় দালালকেও গ্রেফতার করা হয়। মূলত, মুর্শিদাবাদ থেকেই তারা বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আর সেই সময়ই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্য কোনো রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশিদের যে কোনো জায়গা নেই, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেখলেই যে সেখানকার প্রশাসন তৎপরভাবে চুলের মুঠি ধরে গ্রেপ্তার করছে, তা স্পষ্ট।

কিন্তু বাংলাকেই কেন নিরাপদ ভাবছেন এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা! তা না হলে প্রথমে মুর্শিদাবাদে এসে গুজরাটে কিছুদিন গিয়ে সেখান থেকে ভয় পালিয়ে আবার কেন মুর্শিদাবাদকেই বেছে নিলেন এই আটজন বাংলাদেশী? স্বাভাবিক ভাবেই বাংলা যে তাদের কাছে এখন নিরাপদ স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই তথ্য সামনে আসতেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বড় বড় দাবি করা বক্তব্যগুলো যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেল, ঠিক তেমনই তার আসল মুখোশটাও সামনে চলে এলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।