প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় যে কোনো নির্বাচনেই তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস করে, তার পেছনে সবথেকে বড় পুলিশের অবদান রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এলেও তাদের পরিচালনা করে পুলিশ। তাই প্রত্যেকটি নির্বাচনেই অবাধে কারচুপি থেকে শুরু করে হিংসার মত ঘটনা ঘটে। কিন্তু ২০২৬ বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষা। তাই তার আগে এবার রাজ্য পুলিশ দিয়ে নয়, বরঞ্চ বাইরে থেকে পুলিশ কর্তাদের নিয়ে এসে বাংলার ভোট পরিচালনা করা হোক বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরকদাবি করেন তিনি। শুভেন্দু বাবু বলেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে ভোট করানো নয়, ভোটের সময় তাদের রাজ্যের বাইরে পাঠানো হোক। রাজ্যের বাইরে যে কোনো জায়গা থেকে এসপি, ওসি, আইসিদের নিয়ে এসে বসানো হোক। প্রয়োজনে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হোক।”
বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একেবারে যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন। কারণ এই রাজ্যে পুলিশ ছাড়া তৃণমূল এক পাও চলতে পারবে না। প্রত্যেকটি নির্বাচনেই পুলিশের সাহায্য নিয়েই তৃণমূলের গুন্ডারা বুথে অবাধে ছাপ্পা দিয়ে ভোটে জিতে যায়। তাই এবার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা আটকাতে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে। আর এই বিষয় ঠিকঠাক করলেই তৃণমূলের পক্ষে আর ভোটে জেতা সম্ভব হবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করছেন। তাই তার এই কৌশল যদি বাস্তবে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে সবথেকে বড় চাপ তৈরি হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কাছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মত জানে যে, বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রাজ্যজুড়ে রয়েছে, তাতে খুব একটা সহজ হবে না ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা। তাই সেই নির্বাচনে জয় লাভ করতে পুলিশ সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করায় সেই পুলিশকেই এবার বাংলার বাইরে পাঠিয়ে দিলে এই রাজ্যের শাসকের হয়ে তাবেদারি করার কিছু থাকবে না। আর যদি এই কাজ শুভেন্দুবাবু করতে পারেন, তাহলে তৃণমূলের কপালে শনি নাচবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।