প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে এসআইআরের আবহের মধ্যেই কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার ব্যাপারে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে সেই নির্দেশ যে রাজ্য পালন করবে না, আর নির্বাচন কমিশনের কথায় যে রাজ্য চলবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গতকাল বেলা ৩ টের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিস্তারিত জানাবেন যে, তিনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন ডেডলাইন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। যার দিকে গোটা রাজ্যবাসীর নজর ছিল। অবশেষে সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, সমস্ত অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের নির্বাচনী কাজে রাখা হবে না। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এখনই সাসপেন্ডের মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে যদি কিছু বেরিয়ে আসে, তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। অর্থাৎ এক কথায় নির্বাচন কমিশন যে সাসপেন্ড করার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছিল, তা অমান্য করেছে রাজ্য বলেই দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এবার নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেয়, তার দিকে সকলের নজর ছিল। অবশেষে আজ সামনে এলো বড় খবর।

বলা বাহুল্য, গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তাতে নির্বাচন কমিশন কি উত্তর দেয়, তার অপেক্ষায় ছিল গোটা রাজ্যবাসী। অনেকেই বলেছিলেন যে, এবার নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন না করে রাজ্য কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করলো। তাই নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ জন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেসবের মধ্যেই কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এবার সশরীরে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গতকালের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের নির্দেশ না মানার কারণে পাল্টা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেল ৫ টার মধ্যে সশরীরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কমিশনের এই নির্দেশের ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তারা রাজ্য নির্দেশ পালন না করায় যথেষ্ট অসন্তুষ্টৃ আর সেই কারণেই এবার মুখ্যসচিবকে সশরীরে দিল্লিতে তলব করলো। স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের এই পদক্ষেপের পর মুখ্যসচিব দিল্লিতে যান, নাকি সেই নির্দেশ অমান্য করে রাজ্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংঘাত আরও দ্বিগুণ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।