প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নেপাল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিষিদ্ধ করনের প্রতিবাদের যেভাবে রাজপথে যুবসমাজ নেমেছিল এবং যেভাবে তাদের প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছিল, তাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন একের পর এক মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে শুরু করে বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভ কারীরা। গোটা নেপাল চলে যায় সেনাবাহিনীর অধীনে। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে কাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে একটা দীর্ঘ জল্পনা ছিল। অবশেষে আজ রাতেই নেপালের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন সুশীলা কারকি।

প্রসঙ্গত, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরেই কার হাতে যাবে নেপালের দায়িত্ব, তা নিয়ে বিভিন্ন নাম সামনে আসে। প্রথমে জল্পনা ভাসতে শুরু করে যে, কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করা হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে সেই নাম অনেকটাই পেছনে চলে যায়। আর বেশ কিছুদিন ধরে শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল যে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীল কারকি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। আর অবশেষে বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেল যে, আজই রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন সুশীলা কারকি।

আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সুশীলা কারকি বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কি নেপাল শান্ত হবে? কেননা যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়েছে, যেভাবে যুবসমাজের বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, তাতে সকলের মধ্যেই একটা প্রশ্ন যে, নেপাল তার হৃত গৌরব কবে পুনরুদ্ধার করতে পারবে! ইতিমধ্যেই প্রচুর সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। স্বভাবতই এমন একটা ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নেপালকে শান্ত করতে কতটা সক্ষম হন সুশীলা কারকি, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা বিশ্ববাসীর।