প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যের যেখানেই হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই দুর্নীতির গন্ধ বেরোচ্ছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, তৃণমূল সরকার সবটাই ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। এমনকি বর্তমানে যে নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে, সেখানেও দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর এসবের মধ্যেই প্রতিনিয়ত যখন তৃণমূল সরকারকে সেই দুর্নীতি নিয়ে বিদ্ধ করেন বিরোধী নেতারা, ঠিক তখনই তৃণমূলকে আরও একধাপ এগিয়ে এমন এক আক্রমণ করে বসলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, যার ফলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল।
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগাচ্ছেন তারা, ঠিক তেমনই নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতিকেই প্রধান ইস্যু হিসেবে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। যেভাবে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা জেল খেটেছেন, সেই বিষয়কে সামনে এনে রাজ্যের বেকার মেধাযুক্ত যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করছেন বিজেপি নেতারা। আর এসবের মধ্যেই তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে ওদের জিনেই দুর্নীতি আছে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর সেখানেই নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি। যেখানে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল থেকে ফিরে আসার পরেও বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যে মন্তব্য, তাকেও খোঁচা দেন এই বিজেপি সাংসদ। সৌমিত্রবাবু বলেন, “দেখুন শুধু শিক্ষামন্ত্রী কেন, শিক্ষামন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী তারা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে থাকবে, এটা কোনো বড় বিষয় নয়। এটা পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিক বিষয়। যেমন পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিটাও সাধারণ বিষয়।। দুর্নীতি ওদের জিনে আছে। জিনে যদি দুর্নীতি থাকে, তাহলে সেটা নষ্ট করা যায় না। তার জন্য সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বাংলার অভিভাবক, অভিভাবিকা, মা-বোনেরা দেখুক। বাংলায় এই জিনটাকে সরাতে হবে। তার জন্য এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”