প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধকরনের প্রতিবাদে গতকাল থেকেই নেপালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে যুবসমাজ। যেখানে তাদের প্রতিবাদ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নেপাল জুড়ে। একের পর এক সরকারি বাসভবনকে যেমন টার্গেট করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই মন্ত্রীরাও ভয়ে পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, নেপালের প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। যার ফলে নেপাল সেনাবাহিনীর দখলে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এর মাঝেই এবার যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নেপালে, তাতে বন্ধ হয়ে গেল হাইকোর্টও।
জানা গিয়েছে, নেপালে যে উন্মত্ত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জনতার, তার প্রভাব পড়েছে আইন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। ইতিমধ্যেই নেপালের পোখরায় হাইকোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে সেই হাইকোর্টের কাজ বন্ধ রেখে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ করতে শুরু করেছেন আইনজীবীরা। অর্থাৎ নেপাল জুড়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে সামিল হলেন আইনজীবীরাও। যার ফলে বিচার ব্যবস্থাতেও যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালের পরিস্থিতি বর্তমানে একেবারেই ভেঙে পড়েছে। যে উন্মত্ত যুব সমাজ বিক্ষোভ করছেন, তাদের একটাই টার্গেট, এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা গতকাল থেকেই বিধ্বংসী প্রতিবাদ শুরু করেছেন। যার ফলে মন্ত্রীরাও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর নেপাল যখন একেবারেই সেনাবাহিনীর দখলে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, তখন হাইকোর্টের বাইরেও দেখা গেল প্রতিবাদ বিক্ষোভ। তবে উন্মত্ত জনতার যে বিধ্বংসী বিক্ষোভ নেপালে শুরু হয়েছে, তা কখন থামে এবং শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
