প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর চলছে। আর এই এসআইআর তৃণমূলের কাছে এতটাই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা খুব ভালো করেই জানে, এতদিন ভোটার তালিকায় যে সমস্ত মৃত ভোটার, অবৈধ ভোটার, বাংলাদেশী ভোটার ছিলো, তাদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ দিলে তৃণমূল যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তা ভেবেই তাদের এই এসআইআর বিরোধীতা বলেই দাবি করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই একটি তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে জানতে পারা যাচ্ছে যে, প্রায় দুই হাজারের বেশি বুথ থেকে একটাও ফর্ম ফেরত আসেনি। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। তাহলে কি আবার মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়া হচ্ছে? এতগুলো বুথে এতদিন ধরে কেউ মারা যায়নি, এটা কি করে বিশ্বাসযোগ্য? আর সেই বিষয় নিয়েই তৃণমূলের চালাকি ধরে ফেলে পশ্চিমবঙ্গে এবার ভূতও ভোট দিতে আসতে পারে বলে কৌতুকের মধ্যে দিয়ে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে এসআইআর চলছে, তাতে তৃণমূল কতটা আতঙ্কিত, তা তাদের একের পর এক নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা যেভাবেই হোক, এসআইআরকে আটকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ এসআইআর যদি সঠিকভাবে হয়, তাহলে তো এতদিন মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে তৃণমূল ভোটে যে কারচুপি করেছে, তা আর তাদের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। আর সেই কারণেই তারা এই চিৎকার চেঁচামেচি করছে বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। তবে এত নজরদারি থাকা সত্ত্বেও ২ হাজারের বেশি বুথ থেকে একটাও ফর্ম ফেরত না আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এখানেই একটা বড় খেলা খেলে দিতে পারে রাজ্যের শাসক দল? তারা এই সমস্ত জায়গায় চালাকি করে অনেক মৃত ভোটার, অবৈধ ভোটারের নাম রেখে দিতে পারেন? কারণ এত বেশি বুথে এতদিন একজনও মারা যায়নি, একজনও অবৈধ ভোটার নেই, একজন স্থানান্তরিত হয়নি, এটা কি করে সম্ভব? তাই এই ২ হাজারের বেশি বুথে আবার নতুন করে নজরদারি করে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করা প্রয়োজন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকার, কবরে ভোটার। ভোটের দিন আসবেন, কবর থেকে উঠে, আবার ভোট দিয়ে চলে যাবেন। যারা সেদিন প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন, যদি ভূতের ভয় থাকে, তাহলে ওঝা নিয়ে যাবেন। কারণ ভূত ভোট দিতে আসবে। ফাঁকা জমি, ফাঁকা প্লট, সেখানেও ভোটারের নাম তোলা আছে। এগিয়ে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে এই এসআইআর প্রক্রিয়া দেখার জন্য সারা ভারতবর্ষের বিরোধী দলের নেতারা এবং সাধারণ মানুষ পর্যটনেও আসতে পারেন। তাহলে দেখতে পারবেন, কি চলছে।”