প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। প্রথমদিকে দেশের সঙ্গে তারা আছেন বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন একটা ভাব দেখানো হয়েছিল, যেন তারা কত বড় দেশপ্রেমী! কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই সেই অপারেশন সিঁদুর নাম নিয়ে এলার্জি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। পাশাপাশি তৃণমূলের আর এক নেতা পাকিস্তানের সঙ্গে সেটিং করে এটা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূল অপমান করছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে ময়দানে নেমে তৃণমূলের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেমের বার্তাকে আরও বেশি করে জাগিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বলা বাহুল্য, অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সেনাবাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি পশ্চিমবঙ্গেও এসে জলপাইগুড়ি থেকে সভা করে গোটা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর শুধু প্রশাসনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীই নয়, এই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জেলায় বিজেপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাকিস্তানকে যেভাবে কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে এই অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে, তা নিয়ে মিছিল হচ্ছে। এদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইক মিছিলে শামিল হতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই বিষয়ে এত কেন তাৎপর্য খোঁজা হচ্ছে?
একাংশ বলছেন, নিঃসন্দেহে এই ঘটনার তাৎপর্য রয়েছে। কারণ তৃণমূল এখন গোটা ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশপ্রেম যে সবার আগে, এটা তৃণমূলকে বোঝানো অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ গোটা দেশের মানুষ পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার জন্য যে অপারেশন সিঁদুর ভারত প্রয়োগ করেছে, তার সাফল্যে গর্বিত। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যখন লাগাতার রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তখন দেশের মানুষও সেটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাই মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমকে আরও বেশি করে জাগিয়ে দিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতেই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে বিজেপি নেতাদের জাতীয় পতাকা নিয়ে এই মিছিল আরও গাড্ডায় ফেলবে রাজ্যের শাসক দলকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানকে রাতারাতি এত কড়া ভাবে ভারত জবাব দেবে, এটা কেউ ভাবতে পারেনি। গোটা দেশ মুখিয়ে ছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। অবশেষে ভারতবাসীর আবেগকে মর্যাদা দিয়ে অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে সেই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের সেনাবাহিনী। তাই তাদের কৃতিত্বকে যখন কিছু মানুষ খাটো করার চেষ্টা করছেন, কিছু মানুষ রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণের জন্যই এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা দেশের সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে বড়সড় আঘাত হানছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সেই অপারেশন সিঁদুরের স্বপক্ষেই বিজেপি নেতাদের এই প্রচার, রাজ্যের দেশপ্রেমী রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণকে আরও বেশি করে বিজেপির সঙ্গে সংযুক্ত করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।