প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় সেই গাড়ি ধরে ধরে টাকা তোলে পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়। আর সেই টাকা এসপির মাধ্যম দিয়ে পৌঁছে যায় ভাইপোর কাছে। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই তথ্য তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এবার একেবারে হাতেনাতে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে এই কুকীর্তির জন্য ধরে ফেললেন তিনি। আর ক্যামেরার সামনে আসতেই সেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের এমন দশা হলো যে, তিনি একেবারে হাত জড়ো করে শুভেন্দু অধিকারীর পায়ের কাছে নত হয়ে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন।

কি ঘটনা ঘটেছে? সকলেই জানেন যে, আজ কোচবিহারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কিভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, সেটা সকলেরই অবগত। তবে সেই উত্তরবঙ্গেই তিনি হঠাৎ করেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধরে ফেলেন। যেখানে দেখা যায় যে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের কোনো নির্দিষ্ট পোশাক নেই। তিনি এমনি সাধারণ পোশাক হয়ে রয়েছেন। আর তাকে একেবারে হাতেনাতে ধরেই ক্যামেরার সামনে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এভাবেই টাকা তোলার কাজ করছেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী হাতেনাতে এত বড় কুকীর্তি ফাস করে দেওয়ায় সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার রীতিমত বিড়ম্বনার মুখে পড়ে যান। বাধ্য হয়ে তিনি হাত জড়ো করে শুভেন্দু অধিকারীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। আর এই ভিডিও সামনে আসার পরেই রীতিমত তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরা দাবি করছে, তাহলে এতদিন শুভেন্দুবাবু যা বলতেন, তা তো সত্যি হয়ে গেল! এবার তো একেবারে হাতেনাতে সিভিক ভলেন্টিয়ার ধরা পড়ে গেলেন। এরপর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে কি বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? যে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তিনি বা তার সরকার নিয়োগ করেছিলেন, তাদের এত বড় কুকীর্তি সামনে আনার পরে তো এই ঘটনার সত্যতা তাদেরকে স্বীকার করতেই হবে! আর যদি এই ঘটনার বিন্দুমাত্র মিথ্যা বলে কিছু থাকে, তাহলে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে খন্ডন করা উচিত সরকার পক্ষের। কিন্তু তারা সেটা করতে পারবেন কি? যদি না পারেন, তাহলে এই গোটা ঘটনার দায় এবং ব্যর্থতা স্বীকার করে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।