প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমাগত নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদিও বা বলা হচ্ছে যে, বিজেপি কোনোভাবেই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। কিন্তু শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি অন্য বার্তা দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গাইঘাটা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিতে ১২ টি আসনেই তৃণমূলকে হারিয়ে জয় লাভ করলো বিজেপি।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শাসক দলকে চাপে রাখছে। আর এই পরিস্থিতিতে গাইঘাটা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১২ টি আসনে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা লড়াই করে। অন্যদিকে বাম সমর্থিত প্রার্থীরা ৪ টি আসনে এবং নির্দল সমর্থিত প্রার্থীরা ২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় যে, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রত্যেকটি আসনে হারিয়ে ১২ টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। আর এই জয়ের পরেই রীতিমত উল্লাস শুরু হয় গেরুয়া শিবিরে। উড়তে শুরু করে গেরুয়া আবির।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমবায় সমিতি দখল করে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্নীতি করে, কাউকে ভোট দিতে না দিয়ে তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল। তবে এবার সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে। তাই সমবায় সমিতির প্রত্যেকটা আসনেই বিজেপি জয়লাভ করেছে। আগামী দিনে রাজ্য থেকেও এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেস মুছে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল এখন ভাবতেই পারে যে, এই সামান্য সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি জয় লাভ করেছে, তাতে কি হয়েছে! কিন্তু এই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই তো বড় বড় গলায় দাবি করেন যে, বিজেপিকে রাজ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না, বিজেপি কোনো রাজনৈতিক দলই নয়। তাহলে বিন্দু বিন্দুতেই যে সিন্ধু হয়, এটা কি তৃণমূল নেতাদের মাথায় ঢুকছে না? এক সময় তো বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তারাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়লাভ করতে পারেননি। কিন্তু ২০১১ সালে তো রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন করেছে। তাই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, তার আগে এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভ তৃণমূলের কাছে ভবিষ্যতের জন্য কোনো বড় অশনি সংকেত নয় তো? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।