প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অনেকদিন আগেই ভেঙে পড়েছে। তবে মা, বোন থেকে শুরু করে কন্যাদের যে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। এমনকি যারা ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত, যারা মহিলাদের অপমান করে, যারা মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে টানাটানি করে, তাদেরকেই এই রাজ্যের সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী প্রটেকশন দেন। বারবার করে এই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। আর এবার একের পর এক নিদর্শন সামনে এনে কিভাবে ধর্ষকদের মাথার ছাতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই অভয়ার পরিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। যাকে আটকাতে সব রকম চেষ্টা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। তবে এই অভয়ার ঘটনা থেকেই রাজ্যবাসীর মনে একটা স্পষ্ট ধারণা গেঁথে বসেছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী, তাদের আড়াল করতে চাইছে। পরবর্তীতে কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার পরেও এবং তার মা, বউ তুলে গালিগালাজ করার পরেও তাকে কোনো শাস্তি দেয়নি প্রশাসন এবং তৃণমূল দল। উলটে বীরভূমে গিয়ে সেই অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূলের কনভেনর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সমস্ত কথা তুলে ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অভয়ার পরিবার মাথা উঁচু করে লড়াই করছেন। তাদেরকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সমস্ত কিছু করেনি। তারা মাথা উঁচু করে লড়াই করছেন। যা একটা দৃষ্টান্ত। আর মমতা ব্যানার্জি অভয়ার দেহ যে তাড়াহুড়ো করে সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল, সেই সোমনাথকে পানিহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান করে দিয়েছে। একইভাবে অনুব্রত মণ্ডল, যিনি একজন পুলিশ কর্তাকে তার মা, বউকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন, তাকে তৃণমূলের কনভেনর করে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সুতরাং এই রাজ্যে ধর্ষকদের একটা বড় ছাতা রয়েছে। আর সেই ছাতার নাম হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অর্থাৎ শুধু আক্রমণ করার জন্যই আক্রমণ করা নয়, একেবারে এই রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী খুব সহজেই বুঝিয়ে দিলেন যে, কিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের সুরক্ষিত করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দলনেতার করা এই আক্রমণ যথেষ্ট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।