প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা বলেন, তাদের মুখ্যমন্ত্রী নাকি সততার প্রতীক। তিনি নাকি মাথানত করার মানুষ নন। কিন্তু সম্প্রতি যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যেভাবে যুবসমাজ এবং দর্শকদের অসন্তোষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মেসির অনুষ্ঠান এবং যেভাবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী মেসিকে আগলে ধরেছিলেন, তার প্রতিবাদে দর্শকরা হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও নিজেদের স্বপ্নের নায়ককে দেখতে পারেননি এবং তারপরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তাতে শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা গিয়েও মাঝপথে বিক্ষোভের খবর পেয়ে তিনি আবার গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গিয়েছেন বলে জানা যায়। আর তারপর থেকেই যে মুখ্যমন্ত্রী মাথা নত করার মানুষ নন, তিনি অবশেষে চাপে পড়েছেন এবং সেই কারণেই তার ১৫ বছরের রাজত্বে তিনি এই প্রথম গাড়ি ঘুরিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল সরকারের আমলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতা-মন্ত্রীদের চোখ রাঙানিতে অনেক প্রতিবাদী মানুষ এতদিন মুখ বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু ২০২৬ এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল বুঝতে পারছে যে, এবার তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হয়েছে। আর সম্প্রতি যুবভারতীতে মেসির যে অনুষ্ঠান হয়েছে এবং যেভাবে দর্শকদের সেখানে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। আর শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও, মাঝ পথে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে এতদিন অনেকেই খোঁচা দিয়েছিলেন। কটাক্ষ করেছিলেন। আর এবার বীরভূম থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এতদিন ভয় দেখালেও, মিথ্যে মামলা দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখলেও, ভগবান যে সবকিছু দেখেন এবং তিনি যে সব কিছু ফিরিয়ে দেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বীরভূমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “প্রভু সব দেখছেন। তাই উনি এই প্রথম ১৫ বছরে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে মার ছুট। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। এই প্রথমবার পালিয়েছে। ছুটে পালিয়েছে।”