প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছরের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তার সরকার নাকি সমস্ত কাজ করে দিয়েছে। আগামী ১০০ বছরের কাজ নাকি তার সরকার পুরোটাই সম্পন্ন করে ফেলেছে। কিন্তু রাজ্যে কি কাজ হয়েছে, রাজ্যের মানুষ কি অবস্থায় রয়েছেন, তা তো সকলেই জানেন। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারে চোখের সামনে রাজ্যের এক অব্যবস্থা তুলে ধরলেন সাধারণ মানুষ। যে পরিস্থিতিতে তারা বাস করছেন, যে অব্যাবস্থায় তারা দিন কাটাচ্ছেন, তাতে নবান্ন থেকে কি তাদের এই দুর্দশা চোখে পড়ছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? প্রশ্নটা তুলছে বিরোধীরা।

কি ঘটনা ঘটেছে? এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক করুণ চিত্র সামনে আসে। যেখানে রাস্তার বেহাল দশা। এমন পরিস্থিতি যে, সাধারণ মানুষ খালি পায়েও সেখান দিয়ে হাঁটতে পারবেন না। তাই এক সংকটজনক রোগীকে চিকিৎসা করানোর জন্য সেই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে বাসের ডুলি করে। চারজন মানুষ এই বাঁশের ডুলি কাঁধে করে রোগীকে নিয়ে যাচ্ছেন বেহাল রাস্তার ওপর দিয়ে। আর এই করুণ দৃশ্য সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে বলেন, তার সরকারের আমলে সব কাজ হয়ে গিয়েছে, সেখানে পঞ্চায়েত কি করছে? কেন রাস্তার এই বেহাল দশা?

তবে পঞ্চায়েতের অবশ্য যুক্তির অভাব নেই। তাদের বক্তব্য, জমি জটে আটকে রয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। আর সেই কারণেই রাস্তার এই পরিস্থিতি। কিন্তু পঞ্চায়েতকে তো মানুষ দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষের কাজ করার জন্য। সেখানে কি কারণে কোন কাজ আটকে রয়েছে, সেটা তো মানুষের দেখার কথা নয়। যখন ভোট নেওয়ার কথা মনে পড়ে, তখন তো এই মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। তাহলে ভোটের পর কেন মানুষের কথা তারা শুনবেন না?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাসপুরে রাস্তার যে পরিস্থিতি, তাতে আগামী দিনে নবান্নের রাস্তাতেও এই পরিস্থিতি তৈরি হবে। মানুষের যে জনাদেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬ সালে পাবেন, তাতে সেই রাস্তায় হেঁটে আর নবান্নে যাওয়ার মত ক্ষমতা তার এবং তার দলের থাকবে না। মানুষ সবকিছু উপলব্ধি করছে। নিজেদের যন্ত্রণা দিয়ে তৃণমূলকে তারা এত বছর সহ্য করেছে। তাই এবার পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে মানুষের কাছে। নিজেদের যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করে তারা ২০২৬ এ রাজ্যে যদি পরিবর্তন আনতে পারেন, তাহলেই সুশাসন ফিরবে বলেই আশাবাদী পর্যবেক্ষকরা।