প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যের বিরোধীরা দাবি করে যে, যে সরকারটা বর্তমানে রয়েছে, সেই সরকারকে উৎখাত করা জরুরি, ভোটের আগে দরকার রাষ্ট্রপতি শাসনের। তবে হঠাৎ করেই যদি রাজ্যের রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের কাছে কোনো চিঠি আসে, আর বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে সেই চিঠি আসলে যে তার তাৎপর্য অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্যজুড়ে যে সেই ব্যাপারে আলোচনা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এবার সেই ঘটনাই ঘটলো পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন মুখ্যসচিবের কাছে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে পাঠানো হলো চিঠি? এর পেছনে ঠিক কোন কারণ রয়েছে?

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছে রাষ্ট্রপতি ভবনের আন্ডার সেক্রেটারি গৌতম কুমার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। আর সেই চিঠিতেই রয়েছে বিস্ফোরক তথ্য। যেখানে চিঠিতে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি সহ একাধিক দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই ব্যাপারেই নবান্নকে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। আর একেবারে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নবান্নকে চিঠি পাঠিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের এই পদক্ষেপ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই তো যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন রাজ্যের হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। আর সেই অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে যেভাবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হলো, তাতে যদি নবান্ন ঠিকমত খোঁজখবর নিতে শুরু করে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে তো চরম বিপাকে পড়ে যাবেন জগন্নাথবাবু বলেই মনে করছেন একাংশ।

জানা গিয়েছে, এই জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপিরই এক ব্যক্তি, যার নাম উদয় সিংহ, তিনি অভিযোগ করেছিলেন। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই নবান্নকে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। তৃণমূল চেষ্টা করছে, এই সমস্ত কিছু করার। এতে কিছু যাবে আসবে না। আমার পাঁচ পয়সারও বেনামি সম্পত্তি নেই।” এদিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে নবান্নকে চিঠি পাঠানো হলেও, নবান্নর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে বড় জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।