প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ টি রাজ্যে বর্তমানে এসআইআর চলছে। আর ভোটার তালিকায় এই নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার একটাই কারণ, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করা। এক্ষেত্রে বারবার করে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ভোটার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে জল মেশানো রয়েছে। বহু অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। আর এসআইআর শুরু হতেই তারা যে রাজ্য ছাড়ছে, তা সীমান্তের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। তবে এই রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীরা দেশ ছাড়ার কারণে কি বেশকিছু রাজনৈতিক দলের অস্বস্তি হচ্ছে? তারা এতদিন তাদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং এসআইআর হওয়ার পরে তারা বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছে জন্যই কি যে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের ভোট পেয়ে এসেছে, তারা যন্ত্রণাবিদ্ধ হতে শুরু করেছেন? তবে এসআইআরের সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, গতকাল অন্য একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কড়া মন্তব্য করলো সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে এসআইআর আবহে যারা অনুপ্রবেশকারীরা চলে যাওয়ার কারণে নিজেদের ভোটব্যাংক নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, যারা ভাবছিলেন যে, যেভাবেই হোক, অনুপ্রবেশ কারীদের যাতে রেখে দেওয়া যায় নিজেদের ভোটব্যাংকের স্বার্থে, তাদের ঘুম যে উড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

কি ঘটনা ঘটেছে? এসআইআর আবহে এমনিতেই অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্য ছাড়ছে, এইরকম চিত্র সামনে এসেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর তার মাঝেই দিল্লি পুলিশের হেফাজত থেকে ৫ জন রোহিঙ্গা উধাও হয়ে যাওয়ার খবর সামনে আসে। আর সেই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল কড়া পর্যবেক্ষণ করে দেশের শীর্ষ আদালত। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে যে মন্তব্য সামনে এসেছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, যারা ভোটের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের এই দেশের মাটিতে জায়গা করে দিতে চাইছিলেন, এবার তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে ৫ জন রোহিঙ্গা দিল্লী পুলিশের হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে একটি মামলার শুনানি শুরু হয়। আর সেখানেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত। তিনি বলেন, “আমরা কি রেড কার্পেট বিছিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানাবো? আমাকে দেখান যে, ভারত কবে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়েছে?” আর এমনিতেই এসআইআর আবহে অনুপ্রবেশকারীদের প্রচুর নাম বাদ যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, আর তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যে কড়া পর্যবেক্ষণ করলো, তাতেই স্পষ্ট যে, এই দেশে এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের কোনো জায়গা নেই। তাদেরকে আর যাই হোক, দুধে ভাতে রাখার মত প্রয়োজনীয়তা নেই ভারতবর্ষের। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এদিনের এই কড়া পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছে গোটা দেশ।