প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। তবে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চলছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তান নিজেদের নিরীহ বলে দাবি করে যতই ন্যাকামি করার চেষ্টা করুক, এবার সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তলায় তলায় যে এতবড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত, তা হয়ত স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি পাকিস্তান। যেভাবে ইসলামাবাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ ভারতের সঙ্গে আসছে, তাতে এবার পাকিস্তানের কোমর ভেঙে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ইউরোপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যেখানে জার্মানেও গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য সামনে আসার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে কেউ বরদাস্ত করতে পারছে না। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের পাল্টা ভারত যেভাবে জবাব দিয়েছে, তাতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার অধিকার ভারতের রয়েছে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন জার্মানের বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল।
শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর গলায় বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বিরোধী রয়েছে, তার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের প্রশংসা এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ঘুরিয়ে নিন্দা করে জার্মানের বিদেশ মন্ত্রীও বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত যা করেছে ঠিক করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্য সামনে আসার পর পাকিস্তান যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অনেকে বলছেন, ভারত-পাক যুদ্ধের আবহের পর থেকেই পাকিস্তান এমন একটা ভাব বিশ্বের সামনে দেখানো শুরু করেছিল, যেন তারা কিছুই করেনি। সব অন্যায় যেন ভারত করেছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রথম জঙ্গি কার্যকলাপ যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই শুরু হয়েছিল, তা এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সকল দেশের কাছে স্পষ্ট করে দিচ্ছে ভারত সরকার। আর জার্মানি গিয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এবং তারপরে সেই জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী যেভাবে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা তুলে ধরলেন, তাতে আগামী দিনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকা দেশের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে বড় জনমত। গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।