প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রায় অনেকদিন আগেই ছাত্র আন্দোলনের কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। মাঝেমধ্যেই আত্মগোপন থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সকলেই চাইছিলেন যে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অভাব তারা অনুভব করছেন। তাই শেখ হাসিনা যেন আবার ফিরে আসেন। তবে বর্তমানে সেখানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রয়েছে, সেই ইউনুস সরকার শেখ হাসিনা এবং তার দলের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছিল বলেই অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে এবার চরম বিপাকে পড়ে গেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যেখানে আদালত অবমাননার কারণে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হলো।

জানা গিয়েছে, এদিন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে জানানো হয় যে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হলো। তবে শুধু শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামি লিগের আরও এক নেতা শাকিল আলমকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই শাস্তি দেওয়া হলো শেখ হাসিনাকে? জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই একমাস আগে এই ট্রাইবুনালের আইনজীবীরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রকাশে আনেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এক সময় ছাত্র বিক্ষোভের জেরে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার শেখ হাসিনাকে এবার সাজার মুখে পড়তে হলো।

বলা বাহুল্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। যাকে আগস্ট বিপ্লব নাম দিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশের কিছু ছাত্ররা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হতে শুরু করে যে, বঙ্গভবনের দখল নিয়ে সেখানে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়। পরবর্তীতে প্রাণে বাঁচতে সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা বলেই খবর। বর্তমানে বাংলাদেশে আবার যখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই মাঝেমধ্যেই তিনি অডিও বার্তা দিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান ইউনুস সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই এবার সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে সাজা ঘোষণা করা হলো, তাতে তার জেল যাত্রা এক প্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে এই সাজা ঘোষণার পর অডিও নাকি প্রকাশ্যে এসে কোনো বার্তা দেন শেখ হাসিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।