প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পরেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়ে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের দিকে তাকালে পাকিস্তানকে কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। কিন্তু এত কিছুর পরেও পাকিস্তান বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার পরেও, তাদের নির্লজ্জ হুমকি কমছে না কিছুতেই। এবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আবার যে মন্তব্য করলেন, তার ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, আবার কি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হতে চলেছে যুদ্ধের মত পরিস্থিতি? কিন্তু হঠাৎ করে আবার এই আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে কেন?
বলা বাহুল্য, বর্তমানে এমন একটি খবর সামনে এসেছে যা নিয়ে আবার দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জানা গিয়েছে, গত শনিবার পাকিস্তানের নৌ অ্যাকাডেমিতে বক্তব্য রাখছিলেন সেখানকার সেনাপ্রধান আসিম মুনির। আর সেখানেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুংকার দেন। কাশ্মীরীদের নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, “ভারত যাকে সন্ত্রাসবাদ বলছে, আদতে তা একটি বৈধ সংঘাত। পাকিস্তান সর্বদা কাশ্মীরকে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে ভারত আক্রমণ করলে পাকিস্তান জবাব দেবে। আমরা দুইবার জবাব দিয়েছি, প্রথমে আমরা ২০১৯ সালে বালাকোট বিমান হামলা ব্যর্থ করেছি এবং এখন অপারেশন সিন্দুর।” আর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের পরেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, আবার কি তাহলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি ভেঙে তৈরি হবে যুদ্ধের মত পরিস্থিতি?
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কাশ্মীর নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের গলায়। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার আগে “কাশ্মীর তাদের গলার শিরা ছিল এবং আছে” বলে দাবি করেন আসিম মুনির। পাশাপাশি কাশ্মীরি ভাইদের ভারতের দখলদারির বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ত্যাগ করতে পারবো না বলেও জানিয়ে দেন তিনি স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যের পরেই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে যায়। কিন্তু তারপরেও যেভাবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আবার একটা প্রতিশোধের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তাতে নির্লজ্জ পাকিস্তান যে কোনোমতেই শোধরাবে না এবং তারা যে আবার যুদ্ধের পন্থা নিয়ে ভারতকে সমস্যার মুখে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে এখন থেকেই পাকিস্তানের কোমর ভেঙে যাওয়ার জন্য ভারতকে পাল্টা প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।