প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল এখন দিশেহারা। তারা ভেবে পাচ্ছে না যে, তারা কি করবে! নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের ঘোষণা করে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মূল প্রক্রিয়া আগামী ৪ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে, যেদিন বিএলওরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। আর তার আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি, হুশিয়ারি। কেউ রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, কেউ চোখ উপড়ে ফেলার নিদান দিচ্ছেন, আবার কেউ বা বিজেপি নেতাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে এসআইআরের ঘোষণা তো নির্বাচন কমিশন করেছে। এর সঙ্গে তো বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল কেন বেছে বেছে বিজেপিকে আক্রমণ করছে? কেন এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূলের ছটফাটানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিতর্কিত মন্তব্য করে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা? আর এই সমস্ত প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ফের বিজেপিকে হুমকি দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন হাড়োয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা।

প্রসঙ্গত, এসআই আর নিয়ে তৃণমূল এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে, তারা জানে এসআইআর হলে রাজ্যে আর ভুয়ো ভোটার বলে কিছু থাকবে না। আর এতদিন যে সমস্ত অবৈধ ভোটারকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল তৃণমূল, তাদের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু হতেই তৃণমূলের হুমকি, হুঁশিয়ারি আরও দ্বিগুণভাবে বাড়তে শুরু করেছে। আর এসবের মাঝেই বিজেপি নেতাদের উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো হবে বলে মন্তব্য করলেন এক তৃণমূল নেতা। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এদিন প্রকাশ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন হাড়োয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক মোল্লা। যেখানে এসআইআরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় তাকে। আর সেখানেই সরাসরি বিজেপিকে হুমকি দিয়ে বসেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “আমরা যারা পরিচিত ভোটার, আমাদের অবৈধ ঘোষণা করবে বিজেপির সরকার। আমাদের তারা বাদ দেবে, আমাদের সিএএর মধ্যে ফেলে দেবে, তাহলে বিজেপিকে আমরা গাছে পেটাব না তো কি, রসগোল্লা খাওয়াবো? আমাদের কোনো বৈধ ভোটারকে যদি বাদ দেয়, আমি আজকেও বললাম, বিজেপির কোনো লিডার যদি এই মস্তানি করতে আসে, তাকে সোজা করে নয়, তাকে উল্টো করে গাছের ঝুলিয়ে তারপরে পেটাবো।”