প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের শাসক দল একটা মরিয়া চেষ্টা করছে, এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য। ইতিমধ্যেই সীমান্তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশি, যারা এতদিন এপারে থেকেছেন, তারা এখন ওপারে ফিরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কারণ তারা খুব ভালো মতই জানেন যে, তারা এই দেশের নাগরিক নন। ফলে এসআইআর ঠিকমত হলে তাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই তারা এখন থেকেই রাজ্য ছেড়ে নিজেদের বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে কোথাও কোথাও এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য বিএলওদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এমনকি জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল থেকেও বিএলওদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ আসছিল রাজ্যের বিরোধী দলের কাছে। আর এবার রাজ্যের তিন জেলা শাসকের বিরুদ্ধে ভয়ংকর তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের হাতে তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন, এসআইআর প্রক্রিয়া সঠিক গতিতে চললেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিএলওদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এসআইআরে যাতে ভুল তথ্য তোলা হয় এবং অবৈধ ভোটারদের যাতে রেখে দেওয়া হয়, তার জন্য বিএলওদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধু তৃণমূল নয়, একেবারে জেলা শাসকরাও এই কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন বলে আজ বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতায় জ্ঞানেশ ভারতী সহ নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে তিন জেলা শাসকের বিরুদ্ধে যাতে এফআইআর করা হয়, তার জন্য আবেদন জানালেন তিনি।

এদিন কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই তারা কি কি ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন, বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তার ব্যাখ্যা করেন শুভেন্দুবাবু। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা তথ্য দিয়েছি যে, আইপ্যাক ডিএমদের সাহায্য নিয়ে….ধরুন, কারওর পুরো নাম ইসমাইল খান, উত্তর দিনাজপুরে, কোচবিহারে তার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, নদীয়ার লিঙ্ক খুঁজে বের করে সেই বাংলাদেশী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, তার নাম রাখার চেষ্টা করছে। আর এই কাজে বিএলওদের বাধ্য করছেন একটা শ্রেনীর ডিএমরা। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানের ডিএম, তারা সরাসরি বিএলওদের কাছ থেকে ওটিপি চেয়েছিলেন। বিএলওরা সেই অভিযোগ করেছিলেন। আমরা তাদের সেই কনফিডেন্সিয়াল অভিযোগ আজকে জ্ঞানেশ ভারতীর হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার বলেছি যে এই তিন ডিএমএর বিরুদ্ধে কেন এফআইআর হবে না?”