প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর প্রক্রিয়ায় সবথেকে বড় ভূমিকা রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। তারা নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ করার চেষ্টা করলেও, বিভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ আসছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরোধীরা অভিযোগ করছে যে, অনেক বিএলওরাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাইছেন। কিন্তু শাসক দলের চাপের কাছে এবং প্রশাসনের একটা অংশের ভয় দেখানোর কাছে তারা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। যার ফলে তারা অনেক ভুতুড়ে ভোটার সিস্টেমে আপলোড করে দিচ্ছেন। তবে এবার এরকম যাতে কোনো কিছু না হয়, কোনো মিথ্যে তথ্য এবং অযোগ্য ভোটারের নাম যাতে ভোটার তালিকায় না থাকে এবং এসআইআর প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ ভাবে হয়, তার জন্য বিএলওদের কড়া হুশিয়ারি দিলো নির্বাচন কমিশন।

গোটা রাজ্যজুড়ে সঠিকভাবে এসআইআর হলে প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি নাম বাদ পড়বে। প্রথম দিন থেকেই এই দাবি করে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তৃণমূল কংগ্রেস যে এই এসআইআরের ফলে অত্যন্ত আতঙ্কিত, তা তাদের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হলেও অনেক জায়গাতেই জল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। অনেক জায়গাতেই বিএলওরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন। তবে তাদেরকে শাসক দলের ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করে ভুল তথ্য সিস্টেম আপলোড করতে হচ্ছে। তাই এরকম কিছু যাতে না হয়, এবার সেই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে যে, কমিশনের কাছে হয়ত এরকম খবর পৌঁছেছে যে, বিএলওদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে মিথ্যে তথ্য সিস্টেমে আপলোড করার ক্ষেত্রে। আর সেই কারণেই যে লক্ষ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া হয়েছে, সেই লক্ষ্য যাতে ঠিকমত পূরণ হয়, তার জন্যই কমিশনের এই কড়া ডোজ বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় কমিশন জানিয়ে দেয় যে, এসআইআরের উদ্দেশ্য কি। এক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য যেন কোনো যোগ্য ভোটার বাদ না যায়। পাশাপাশি কোনো অযোগ্য ভোটার যাতে ভোটার তালিকায় না থাকে, সেই দিকটাও দেখতে হবে। আর এক্ষেত্রে যদি কোনো গাফিলতি সামনে আসে, তাহলে বিএলওদের বিরুদ্ধে যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মিথ্যে তথ্য আপলোড করে ভয়ের কাছে নতী স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন বিএলওরা, এমন অভিযোগ উঠছে। তাই তাদের অভয় দিয়েই তারা যদি সঠিক তথ্য না দেন, তাহলে যে তাদের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ হতে পারে, তা স্মরণ করিয়ে নিরপেক্ষ সহকারে কাজ করার বার্তা দিয়ে এসআইআর প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পথে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।