প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর হওয়ার অনেক আগে থেকেই তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। এমনকি বাংলায় তারা এসআইআর হতে দেবেন না বলেও অনেক চিৎকার, চেঁচামেচি করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। বিএলওরা আগামী ৪ তারিখ থেকে যেদিন বাড়ি বাড়ি যাবেন, ঠিক সেদিনই এই এসআইআরের বিরোধিতা করে পথে নামতে চলেছে তৃনমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় একটি পদযাত্রা করবেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এসআইআরের আতঙ্ক তো এমনিতেই তৃণমূলের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও কি অন্য কোনো বিষয় রয়েছে, যাকে ধামাকা দেওয়ার জন্য এসআইআরকে সামনে নিয়ে এসে তৃণমূল এই ধরনের কর্মসূচি করছে? এবার সেই ব্যাপারেই শাসকের প্ল্যান সামনে এনে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এসআইআর হলে তাদের যে অবৈধ ভোটার, সেই ভোটব্যাংকে ফাটল ধরবে। আর তাই তৃণমূল এর বিরোধিতা করছে বলেই দাবি করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরুদ্ধে কলকাতায় পদযাত্রা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক তৃণমূলের মধ্যে রয়েছে। তার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে, সেগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর ইসুকে সামনে নিয়ে এসে খেলা ঘোরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল বলেই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এদিন এসআইআর ইস্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কর্মসূচি, সেই বিষয়ে সুকান্ত বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “উদ্দেশ্য একটাই। এই এসআইআর নিয়ে রাস্তায় নামার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলায় যেটা প্রধান ইস্যু, চাকরি নেই, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে অন্য রাজ্যে যাওয়া। পাশাপাশি বাংলায় ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়া, ওবিসি রিজার্ভেশন বাতিল হয়ে যাওয়া, একের পর এক দুর্নীতি, ইট, বালি, পাথর, কয়লা, গরু কিচ্ছু বাকি রাখেনি এরা। সমস্ত কিছু নষ্ট করে দিয়েছে। এর থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই এসআইআরকে ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলবল।”