প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে এই রাজ্যে মহিলা থেকে শুরু করে শিশুকন্যা, কারওর নিরাপত্তা নেই এবং সব ক্ষেত্রেই তৃণমূলী নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কসবার ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সমস্ত খবর আসছে, তারপর তৃণমূলকে আরও বেশি করে চেপে ধরছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই নদীয়ার বীরনগরে এক সপ্তম শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, নদীয়ার বীরনগর এলাকায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে পড়তে যেত। গত 2 তারিখেও সেই নাবালিকা পড়তে যায়। আর সেখানেই সেই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে কিছু না বলতে পারলেও, ধীরে ধীরে সেই নাবালিকা নিজের বাড়িতে সবটা জানায়। আর তারপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এদিকে এই ঘটনার পরেই রীতিমত মুখ পুড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই এসটি, ওবিসির তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক দল। এদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বহিষ্কার করার পরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যেই সেই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তৃণমূলের হাতে মা, বোন, শিশু কন্যা কেউ নিরাপদ নয়। সকলেই তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার। আজকে বিভিন্ন জায়গায় মা, বোন, শিশু কন্যাদের সম্ভ্রম নেওয়ার পেছনে তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা রয়েছে বলেই অভিযোগ উঠছে। তাই বাংলার মেয়েদের সুরক্ষিত রাখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই সরকারকে উৎখাত করলেই তৃণমূলের অপশাসন থেকে রাজ্যবাসী মুক্তি পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।