প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার কিভাবে তা মেটাবে, তা নিয়ে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। যার ফলে সরকার কি সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার নতুন কোনো আইনি পরামর্শ নিতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যকে চাপে ফেলে দিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন সরকারি কর্মীদের একটি অংশ।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নবান্নে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। মূলত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও ডিএ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই রাজ্যের সরকারের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীও তেমন কিছুই বলেননি। তাই এই পরিস্থিতিতে কবে তাদের বকেয়া ডিএ কবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সন্ধিহান সরকারি কর্মীরা। যার ফলে কেন্দ্রের সঙ্গে যখন রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার ফারাক বাড়ছে এবং সুপ্রিম কোর্ট যখন নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, তখন রাজ্য যাতে আর বড় কোনো কৌশল নিতে না পারে, তার জন্যই সরকারি কর্মীদের একটি অংশ এবার নবান্নে পাঠালো আইনি নোটিশ।

বিরোধীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যে ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে বলেছে, তা যদি দিতে শুরু করে এই সরকার, তাহলে তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কার্যত পালিয়ে বাঁচতে হবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যের অর্থনৈতিক কোষাগারের যে অবস্থা, তাতে এই মহার্ঘ ভাতা মেটাতে গেলে ভেঙে পড়বে রাজ্যের পরিকাঠামো। তাই এতদিন ধরে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টালবাহানা করা মুখ্যমন্ত্রী এবার সবথেকে বেশি চাপে পড়েছেন বলেই দাবি করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর বিকল্প কোনো উপায় নেই। আদালতের নির্দেশ তাকে মানতেই হবে। যদি তিনি সেই নির্দেশ না মেনে কোনো আইনি কৌশল গ্রহণ করেন, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু যে সময় আদালত বেঁধে দিয়েছে, তাতে যদি সেই নির্দেশ পালন না করে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজ্য, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে আরও বড় কোনো পদক্ষেপ। এমনটাও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশের পক্ষ থেকে নবান্নে পাঠানো আইনি নোটিশ এযাবৎ কালের মধ্যে সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।