প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার এক ঢিলে দুই পাখি মারতে বাংলায় পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে একদিকে তার উত্তরবঙ্গ সফরে রাজনৈতিক সভা এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় রাজনৈতিক ঝটকা হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে একটি জনসভা করার কথা রয়েছে তার। পাশাপাশি সেই জনসভার পাশেই আরও একটি মঞ্চে প্রশাসনিক সভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। বলা বাহুল্য, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সফর করে পাকিস্তানকে যেভাবে জবাব দিয়েছে সেনাবাহিনী, তা নিয়ে তাদের কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি দেশের কৃতিত্ব তুলে ধরেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বার্তা তুলে ধরার জন্যই উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এই এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফরের আগে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন পিএমও আধিকারিকরা। যেখানে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। এদিন মনোজবাবু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আলাদা দুটি কর্মসূচির জন্য দুটি আলাদা মঞ্চ তৈরি হবে। কর্মসূচির জন্য প্যারেড গ্রাউন্ডে তিন থেকে চারটি হেলিপ্যাড তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী সিকিম থেকে আলিপুরদুয়ারে চপারে আসবেন। নামবেন আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে।” তবে বৃষ্টির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাধার সৃষ্টি করবে না তো? বিজেপি সাংসদ মনোজ টিজ্ঞার স্পষ্ট বার্তা, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগের দিন প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টি হলেও সভা করতে অসুবিধা হয়নি। তাই এবারও সেরকম কিছু হবে না বলেই আশাবাদী তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফর বাংলায় বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। এর ফলে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতাকর্মীরা যথেষ্ট মাইলেজ পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে কটাক্ষ করে কি বার্তা দেন, তার আভাস পেয়ে আগামী দিনে লড়াই করতে যথেষ্ট সুবিধা হবে বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রশাসনিক সভা থেকেও তার বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক, দুই দিক থেকেই বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর এই দুই সভা তৃণমূলের জন্য যে বড়সড় ঝটকা হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।