প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধকরণের পর থেকেই জনতার মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে। আরও একাধিক ইস্যু ছিল তাদের মধ্যে। তবে সেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধকরণের বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই গতকাল থেকে নেপাল উত্তপ্ত হতে শুরু করে। যেখানে যুব সমাজ সংসদ ভবনে যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। তান্ডব চলে একাধিক সরকারি অফিস এবং কর্মক্ষেত্রে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা আরও ভয়ংকর। যেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলো উত্তেজিত জনতা।

জানা গিয়েছে, এদিন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে উন্মত্ত জনতা অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় রীতিমত বিপর্যস্ত নেপাল। এমনিতেই জনতার প্রতিবাদ ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তবে এবার সেই উত্তেজিত জনতা যেভাবে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে দিলো, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে ঠিক কতটা ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, এটা একদিনের বিক্ষোভ নয়। দীর্ঘদিন ধরেই জনতার মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বাসা বেধেছিল। অবশেষে তারা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করেছেন। যার ফল এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে পরিস্থিতির সমাধান করতে একটাই উপায় হওয়া উচিত, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যখন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জনতার এই ক্ষোভকে সামাল দিতে ক্ষমতা থেকে সরে আসা উচিত কে পি শর্মা অলির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।