প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেতা-নেত্রীরা বারবার করে একটি প্রচার করার চেষ্টা করে যে, বিজেপি হচ্ছে সংখ্যালঘু বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করে তৃণমূল দাবি করার চেষ্টা করে যে, শুভেন্দুবাবু নাকি সংখ্যালঘুদের দেখতে পারেন না। কিন্তু বারবার তৃণমূলের এই যুক্তিকে খন্ডন করে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদীর যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে, তা ভারতবাসীদের জন্য। তিনি তার প্রকল্পে কে হিন্দু, কে মুসলিম সেটা দেখেন না। তবে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল তাদের সবধর নিলমনি সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দখলে রাখতে বিজেপির বিরুদ্ধে যত পারা যায়, মিথ্যা, কুৎসা অপপ্রচার করছেন। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনিও যারা রাষ্ট্রবাদী মুসলিম রয়েছেন, তাদের দেশ গঠনের কাজে বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য বাংলা বাঁচানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। আর তৃণমূল যে সংখ্যালঘু ভোট দিয়ে এবারের নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়ার আশা রেখেছিল, তাদের সেই আশায় কি এবার জল পড়তে চলেছে? কারণ খেজুরিতে যে মেগা যোগদান হয়ে গেল, তারপর সংখ্যালঘু ভোট কতটা তৃণমূলের দখলে থাকবে, তা নিয়েই চিন্তা তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরের অন্দরে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বর্তমানে প্রত্যেকটি সভা সমিতিতে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ডাক দিচ্ছেন। যারা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে, তাদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাকে বাঁচানোর জন্য ২৬ এর লড়াই সকলকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। তবে তৃণমূল পাল্টা দাবি করার চেষ্টা করছে যে, বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু তৃণমূলের সেই প্রচারে জল ঢেলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দাবি করছেন, যারা রাষ্ট্রবাদী মুসলিম, তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি নয়। তারাও বাংলাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসুন। আর শুভেন্দুবাবুর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে খেজুরিতে হয়ে গেল মেগা যোগদান। যেখানে প্রায় ৩০ টি সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যাদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন কাঁথি লোকসভার বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেদিনীপুরের শুভেন্দু অধিকারী নিজের খাসতালুকে যে বড় মাপের যোগদান হয়ে গেল, যেভাবে প্রায় ৩০ টি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাতে এবার তৃণমূলের মধ্যে চিন্তা প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতদিন তারা নিশ্চিন্ত ছিলেন যে, সংখ্যালঘু ভোটের পুরোটাই তারা পাবেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সেই সমস্ত রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, যারা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে, তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি নয়। আর শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যে বিশ্বাস করে, তার প্রতি আস্থা রেখে যেভাবে ২৬ এর নির্বাচনের আগে প্রায় ৩০ টি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাতে তৃণমূল বড়সড় ধাক্কা খেলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।