প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বিরোধীরা প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুই মিনিট ভাবে না পুলিশ। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে দিতে পুলিশের কোনো দেরি হয় না। কিন্তু তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের মুখে অ্যাসিড ফেলে দেওয়ার মত মন্তব্য করার পরেও তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু পুলিশের সেই সমস্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতা হয় না। কারণ এই রাজ্যের পুলিশ দলদাস বলেই দাবি করে বিরোধীরা। আর এসবের মাঝেই ফের বিজেপিকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই একেবারে পিটিয়ে আধমরা করে ফেলে রাখার হুশিয়ারি দিলেন রায়নার তৃণমূল নেতা বামদেব মন্ডল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এসআইআর নিয়ে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে বাংলায় এসআইআর চালু হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন সকলে। আর এতেই কি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা? এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সেই এসআইআর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজেপিকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন এক তৃণমূল নেতা। কোনো রকম সংকোচ ভুলে গিয়ে নিজের অতীতের বক্তব্যে অনড় থেকে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো হলে এবং এসআইআর নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা হলে পিটিয়ে আধমরা করে ফেলে রাখা হবে বলে মন্তব্য করলেন বামদেব মন্ডল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, বিরোধীরা যদি এইরকম কোনো কথা বলতো, তাহলে তো তাদের নেতারা এতদিনে জেলে থাকতেন। কিন্তু শাসক দলের নেতা বলেই কি সাত খুন মাফ? এর আগেও তো এই তৃণমূল নেতা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার কি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মত ক্ষমতা দেখাবে এই রাজ্যের পুলিশ? নাকি এক্ষেত্রেও তারা নিজেদের দলদাস হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবে?
ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এভাবেই ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে তারা যে আতঙ্কিত, তা তাদের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট। কারণ এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলায় এসআইআর হচ্ছে। আর এসআইআর হলে তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা হবে না। তাই তাদের দলের নেতারা এখন আতঙ্কিত হয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার মত হুমকি দিচ্ছেন। তবে যত তৃণমূল এই সমস্ত হুমকি দেবে, ততই তারা মানুষের থেকে জনবিচ্ছিন্ন হবে এবং ২৬ এ এই জনবিরোধী সরকারের পতন অনিবার্য বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।