প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
টানা পাঁচ ঘন্টার বৃষ্টিতে রীতিমত জলের তলায় চলে গিয়েছে শহর কলকাতা। উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতা, বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। সামনেই পুজো। তার আগে এই ধরনের বিপর্যয় কলকাতার মানুষের মন খারাপ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তাঘাটে বের হতে এখন মানুষ ভয় পাচ্ছেন। কারণ একটাই যে, পুজোর মধ্যে বিভিন্ন বিদ্যুতের কাজ হয়। সেক্ষেত্রে জমা জলের মধ্যে যদি কোথাও বিদ্যুতের তার পড়ে থাকে এবং তার ফলে যদি কোনো বিপর্যয় হয়, তাহলে কি হবে? প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের ভূমিকা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে। আর তার মধ্যেই এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেল যে, শহর কলকাতায় যে টানা বৃষ্টি এবং তার ফলে যে জমা জল তৈরি হয়েছে, তাতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন মানুষ।

বলা বাহুল্য, গতকাল রাতে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হয় শহর কলকাতা জুড়ে। প্রায় ৫ ঘণ্টা টানা বৃষ্টিতে পুরো কলকাতা চলে যায় জলের তলায়। পুজোর মুখে আনন্দ মাটি হওয়ার ভয় পাচ্ছেন জনসাধারণ। আর তার মধ্যেই পাওয়া গেল মর্মান্তিক খবর। যেখানে গোটা কলকাতায় এই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত সাত জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। যেখানে মোমিনপুনপুর, নেতাজি নগর, কালিকাপুর, বেনিয়াপুকুর এবং বালিগঞ্জে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।

অনেকেই বলছেন, বৃষ্টি হয়েছে, তাতে জল জমবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। এর আগেও শহর কলকাতায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জমা জল লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফলে প্রশাসন যে কাজের কাজ কিছু করেনি, কলকাতা পুরসভা যে চরম অপদার্থ, তা বলতে বাকি রাখছে না বিরোধীরা। কিন্তু সামনেই যখন উৎসব, তার আগে কেন খোলা তার রাস্তায় পড়ে থাকবে? কেন সেই জমা জলে বুঝতে না পেরে সাধারণ মানুষকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে? এর দায় কি রাজ্যের নেই? কেন কলকাতা পৌরসভা আগেভাগে বৃষ্টির সতর্কবার্তা পেয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি? এর পেছনে মূল গাফিলতি কাদের? উৎসবের মরশুমে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তা, ব্যক্তি এবং দপ্তরের অবহেলার কারণে কেন এতগুলো মানুষকে প্রাণ বলি দিতে হলো? এর দায় কি প্রশাসনের ওপর বর্তাবে না? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।