প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে তৃণমূল কর্মীদেরও যে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতেও যে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন, তা বারে বারে স্পষ্ট হয়েছে। আর এবার দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হলেন কোচবিহারের তৃনমূল কর্মী। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে গোটা জেলা জুড়ে। কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, গতকাল কোচবিহার থেকে বড় আপডেট সামনে আসে। যেখানে রাত্রি ১১ টার সময় কোচবিহার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং চকচকা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বাড়ি ফিরছিলেন। আর রাজু দে নামে সেই তৃণমূল নেতাকে একটি কালো গাড়ি করে এসে কিছু দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। সাথে সাথেই সেই তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আর এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে যে, কোচবিহার জেলায় তো তৃণমূলের ভয়াবহ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তাহলে এই গোটা ঘটনা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল নয় তো? যদিও বা গোটা বিষয়ে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে রাজ্যের শাসক দল।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই গোটা ঘটনার পেছনে বিজেপি রয়েছে, তারাই পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেছে। যদিও বা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, “জেলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওদের কর্মীরা বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জন্যই এই ঘটনা। এখানে বিজেপির কোনো নেতা বা কর্মী যুক্ত নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমাদের ওপরে মিথ্যা অভিযোগ চাপাচ্ছেন।” তবে এই রাজনৈতিক তরজার মাঝেই শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, ঠিক কি কারনে গুলি খেতে হলো তৃণমূল কর্মীকে, রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে কোন সত্যতা বেরিয়ে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা জেলাবাসীর।