প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে নিজের রাজ্যের কতটা সর্বনাশ করছেন, তা অতীতেও বারবার করে উঠে এসেছে। আর এবার নীতি আয়োগের মত বৈঠক বয়কট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন, যে সিদ্ধান্ত শুধু আত্মঘাতী নয়, রাজ্যবাসীর পক্ষেও চরম হতাশাজনক বলেই মনে করছেন একাংশ।
সূত্রের খবর, এদিন দিল্লিতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিহার, কর্ণাটক, কেরল এবং পুদুচেরির পক্ষ থেকেও প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে যা জানা গিয়েছে, তা অত্যন্ত মারাত্মক। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, গতবার নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কথা বলতে গেলেও, কিছু সময় পরেই তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময় তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি এই বৈঠক বয়কট করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠক বয়কট করলেও এতে তো আখেরে ক্ষতি হলো রাজ্যের মানুষের! এটা কি তিনি অনুভব করতে পারলেন না? শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে, নিজের ইগো দেখিয়ে এই বৈঠক বয়কট করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি কার্যত পশ্চিমবঙ্গকেই পিছিয়ে দিলো। ভুল বার্তা চলে গেল। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার এটাই তার শেষ সুযোগ ছিল। এরপর নতুন সরকার আসছেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রধানমন্ত্রী টিম ইন্ডিয়ার কথা বলেছেন, সবাই উপস্থিত থাকলে ভালো হত।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী গতবারের নীতি আয়োগের বৈঠকেই এবার উপস্থিত থাকবেন না বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাকে বলতে দেওয়া হয়নি, এরকম কোনো অভিযোগ অন্যান্য অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পক্ষ থেকেও কিন্তু শোনা যায়নি। অন্তত তেমনটাই দাবি বিজেপির। সেদিক থেকে রাজ্যের মানুষের স্বার্থে, রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে তার তো সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে এই বৈঠকে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। যেখানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে বিকশিত রাজ্যের কথা এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের অনুপস্থিতির নিঃসন্দেহে রাজ্যের ভবিষ্যতের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।