প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে যে সমস্ত ওবিসি তালিকায় রয়েছে, সেখানে যথেষ্ট গরমিলের অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। আর সেই মামলায় এবার যে নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে আরও একটা বড় ধাক্কা খেলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বলা বাহুল্য, এই ওবিসি মামলার দিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা রাজ্যবাসী। কেননা এই মামলার ফলে স্কুল, কলেজের ভর্তিও আটকে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো বিরাট নির্দেশ। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালের ওবিসি তালিকা একমাত্র বৈধ। আর ২০১০ সালের পরবর্তী সময় থেকে যে সমস্ত সার্টিফিকেট হয়েছে, সেগুলো সবটাই বাতিল বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই ২০০৯ সালের তালিকাকে প্রাধান্য দিয়েই যে আমি ই ভক্তি প্রক্রিয়া হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলে।
আদালতের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে ৪০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি যারা ওবিসি রয়েছেন, তাদের কাছ শংসাপত্র নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই শংসাপত্র যাতে আপলোড করা হয়, তার জন্য বিশেষ পোর্টাল চালু করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন এই প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ২০১০ সালের পর যারা ওবিসি তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের সার্টিফিকেট আর কোনোভাবেই বৈধ গণ্য করা হবে না। আর ভর্তি প্রক্রিয়া সেই অনুযায়ীই হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিঃসন্দেহে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে বড় ধাক্কা। এর ফলে ২০১০ সালের পরে যারা ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন, তাদের সার্টিফিকেট যেভাবে বাতিল বলে জানিয়ে দিল আদালত তাতে এই বিষয় নিয়ে এবার রাজ্যের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেই তেড়েফুঁড়ে উঠতে পারে জনতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।