মুখ্যমন্ত্রীই আসলে ২০১৯ এ কেন্দ্রে বিজেপিকে নিয়ে আসছেন, তথ্য দিয়ে বোঝাচ্ছে বাম-কং রাজ্য March 28, 2018 কংগ্রেস আর সিপিআইএম – এর গলায় এখন একই সুর। দুজনের মতেই মুখ্যমন্ত্রীই আসলে ২০১৯ এ কেন্দ্রে বিজেপিকে নিয়ে আসছেন। আর এই কথা রীতিমতো তথ্য দিয়ে বোঝাচ্ছে তারা। এই নিয়ে কয়েকটি যুক্তি তারা দিচ্ছে। ১.রামনবমী পালন করে বিজেপি কিন্তু এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে রামনবমী পালন করেছে তৃণমূল। ২.অন্যদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গিয়েছেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অ-বিজেপি ফ্রন্ট গড়তে। ৩. সূর্যকান্ত বাবুর পতিক্রিয়া -রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছিলেন রামনবমীতে সশস্ত্র মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রীই বলেছিলেন, ১০ বছর ধরে যারা পরম্পরাগত ভাবে রামনবমী পালন করছে, তাদের ছাড় থাকবে। ওই ‘ছাড়’ ধরেই সশস্ত্র মিছিলের রাস্তা খুলেছিল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ৪. এই নিয়ে সুজানবাবুর যুক্তি – ‘মুখ্যমন্ত্রী এখন দিল্লি গিয়েছেন রিপোর্ট কার্ড দিতে! বাংলায় কত সুন্দর রামনবমী করে এলাম। এখানে রামনবমী পালন করে বিজেপি-সঙ্ঘকে ময়দান ছেড়ে দিয়ে দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট করতে। টিআরএসের মতো দলের সঙ্গে বিজেপির রসায়ন কেউ জানে না? বিজেপি-বিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন ধরিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করাই ওঁর উদ্দেশ্য।” ৫. পিছিয়ে থেকেন নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।তিনিও যুক্তি সাজিয়ে বলেছেন – ”তৃণমূলও রাম রাম করছে! তৃণমূল আর বিজেপির স্লোগানে এখন ফারাক খোঁজা মুশকিল।” ৬. আর তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে অধীরবাবুর মত- ”তৃতীয় বা ফে়ডেরাল ফ্রন্ট সোনার পাথরবাটি! মুখ্যমন্ত্রী যা করছেন, তাতে বিজেপিরই উপকার হচ্ছে।” ৭. সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য-”প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা বাংলাকে এই অবস্থায় এনেছে। দু’টো দলের কর্মসূচি অভিন্ন- মেরুকরণ, ঘৃণা এবং সন্ত্রাস। এই কর্মসূচিতে তারা একে অপরের উপরে নির্ভরশীল।” যদি দেখা যায় তবে সবার মত কিন্তু এক জায়গায় আটকে আছে। কেননা সবার মতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে যে জোট মমতা করতে চাইছেন তা কি সত্যি ফলপ্রসূ হবে। এই জোট কি ভোটের পরেও বজায় থাকবে ? মানুষ ওই জোটকে ভরসা করে জোটকে ক্ষমতায় আনবে ? হয়তো না আর তাই ভোট বাড়বে বিজেপির।যা আবার বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। আপনার মতামত জানান -