প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মাঝে মধ্যেই দাবি করেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার কাছে নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পরেই সেই যন্ত্রনা আর ভুলতে পারছেন না। তাই যেভাবেই হোক, বিরোধী দলনেতাকে শায়েস্তা করতে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার প্রশাসন সব রকম চেষ্টা করছেন, কিন্তু কোনোমতেই পেরে উঠছেন না। তবে নন্দীগ্রামের মানুষের প্রতি যে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের একটা তীব্র জ্বালা রয়েছে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওর মধ্যে দিয়েই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে তৃণমূল বিধায়কের শাসানির মুখে পড়তে দেখা গেল নন্দীগ্রামের এক বাসিন্দাকে। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, গণতান্ত্রিক রাজ্যে মানুষ তাদের মতামত দেবে। কিন্তু সেখানে নন্দীগ্রামের লোক বলেই, আর সেখানে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছেন এবং তাদের দলের নেত্রী পরাজিত হয়েছেন জন্যেই কি একজন নিরীহ মানুষকে এইভাবে হেনস্থা করতে পারেন একজন তৃণমূল বিধায়ক?
কি ঘটনা ঘটেছে? এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে মারাত্মক বিষয়। যে ভিডিওতে একটি দোকানে গিয়ে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দ্র সিংহ রায় নন্দীগ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি শোনার পরেই তাকে বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর লোক হয়ে গেছো…” অর্থাৎ এক কথায় তাকে শাসানি দিচ্ছেন বলেই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। আর এই ভিডিও পোস্ট করেই তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্যের কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বা শুভেন্দুবাবুর পোস্ট করা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া।
ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দ্র সিংহ রায় আমার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের বাসিন্দা, যিনি ওনার এলাকায় দোকানদারি করেন, তাকে শাসাচ্ছেন। নন্দীগ্রামে ওনার মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন বলে কি সারা রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের বরাত দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম বাসীদের হেনস্থা করার? তবে একটা কথা বলি, রামেন্দু সিংহ রায়কে, নন্দীগ্রামবাসী বলেই শুভেন্দু অধিকারীর লোক নয়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেক নন্দীগ্রামবাসীর লোক। কথাটা মাথায় রাখবেন।”