প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একেই হয়ত বলে, গোদের ওপর বিষফোঁড়া। এমনিতেই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অত্যন্ত চাপে রয়েছেন অনুব্রত   মণ্ডল। আর এবার তার ঘনিষ্ঠ ত অনুগামী বলে পরিচিত এক ব্যক্তি যেভাবে তান্ডব চালাচ্ছেন বোলপুর শহরে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং যেভাবে একটি ভয়ংকর ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে, তাতে আরও বিপদের মুখে সেই অনুব্রত মণ্ডল। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, এভাবেই কি তাহলে চলছে বীরভূম জেলা? অনুব্রত মণ্ডল শুধু পুলিশ কর্তাকে হুমকি দিয়েই থেমে নেই। তার অনুপ্রেরণায় তার অনুগামীরা যেভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তার তো আরও এক নজির সামনে চলে এলো। কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে? কেন এমন কথা বলছে বিরোধীরা! অনুব্রত মণ্ডলের কোন অনুগামী আবার কি করে বসলেন?

 

জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শেখ নাসির। যিনি বোলপুর শহরে যে মিছিল নিয়ে, যে মিছিলের লোক সংখ্যা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল পুলিশ কর্তাকে হুমকি দিয়েছিলেন, সেই মিছিলে যে গাড়ি অনুব্রত মণ্ডল ব্যবহার করেছিলেন, সেই গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এই শেখ নাসির নামে ব্যক্তি। আর সেই শেখ নাসিরের অনুগামীরা বোলপুর শহরে বেআইনি টোলের নাম করে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে তোলাবাজি করছেন বলে অভিযোগ। আর সেই তোলাবাজির খপ্পরে পড়তে হয়েছে মহম্মদ হাবিবুর রহমান নামে এক জওয়ানকে। যেখানে টোলের নাম করে তার কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়, এমনকি তাকে হেনস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে পৌরসভা কি করছে? কে এই শেখ নাসির, যিনি তার অনুগামীদের দিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটাচ্ছেন, অথচ পৌরসভার কোনো দৃষ্টি নেই সেই দিকে? তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হলেই যা কিছু তাই করা যায় বীরভূম জেলায়? এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ নীরব কেন? ইতিমধ্যেই তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকা সেনা জওয়ান মহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “ওরা বললো, ওই পার্কিং রেজিস্টার্ড। তাই আপনাকে টাকা দিতে হবে। না হলে ছাড়বে না বলে। শেখ নাসিরের কথা বলে।” এদিকে এই ব্যাপারে পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তেমনভাবে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সবটা দেখেও কি তাহলে চোখ বন্ধ করে রয়েছে পৌরসভা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন?

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, পুলিশ কর্তাকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার পরেও যে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার সাহস পুলিশ পায় না, সেই অনুব্রত মণ্ডলের আশীর্বাদের হাত মাথায় আছে জন্যই হয়ত এই সমস্ত শেখ নাসিররা রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন। বহাল তবিয়তে তার অনুগামীরা পার্কিংয়ের নাম করে বেআইনিভাবে টাকা তুলছেন, টোলের নাম করে টাকা তুলছেন। যেখানে দেশের সেনা জওয়ানদের পর্যন্ত নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয়, সেখানে চরম অরাজকতা যে বীরভূম জেলা জুড়ে চলছে, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। বিরোধীরা এটাও দাবি করছেন যে, গোটা রাজ্য জুড়েই এই অব্যবস্থা চলছে। শুধু বীরভূম নয়, সব জায়গাতেই বেআইনিভাবে টাকা তুলছেন তৃণমূলের নেতাদের আশীর্বাদের হাত মাথায় থাকা এই সমস্ত তোলাবাজরা। আগামী দিনে এই সরকারকে উৎখাত না করলে এই নৈরাজ্য থেকে রাজ্যের মানুষ রেহাই পাবে না বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির।