প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কি সঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী? আর সেই কারণেই কি পায়ে কাঁটা ফুটে গিয়েছে এই রাজ্যের সর্বোচ্চ ব্যাক্তির! তাই সেই কৌস্তভবাবুকে যেভাবেই হোক, জব্দ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে? কেন এই সমস্ত কথা বলা হচ্ছে? তার কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে। আর তার ফলেই রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোর পর এবার সেই বিজেপি নেতাকে নোটিশ পাঠালো আদালত।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণের পর পাল্টা প্রয়াত তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক ঘোষের একটি বইয়ের তথ্য তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই হইহই করে উঠেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করেছেন এই বিজেপি নেতা। আর রাজ্যের সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সুকুমার রায় কৌস্তভবাবুকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। যেখানে তাকে ডেকে পাঠিয়ে তার বক্তব্য শোনার কথা বলা হয়েছে। আর এই খবর সামনে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
বিরোধীদের দাবি, সঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন এই বিজেপি নেতা। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাত্রদাহ হচ্ছে। আসল তথ্য যাতে ফাঁস না হয়, তার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়ে কৌস্তভ বাগচীকে যাতে গ্রেফতার করা যায়, তার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে রাজ্য। তবে যে বই নিয়ে এত বিতর্ক, সেই বইটাকে কেন এখনও পর্যন্ত ব্যান করা গেল না? কেন এখনও পর্যন্ত সেই ক্ষমতা হলো না এই রাজ্যের? সেই বইয়ের তথ্য তুলে ধরে যদি এই বিজেপি নেতা পোস্ট করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগেও কৌস্তভবাবু যখন প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের এই লেখা বই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন, তখন তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশের গ্রেফতারি সকলের নজরে এসেছিল। যদিও বা পরবর্তীতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার নির্দেশ দেন। যার ফলে রাজ্য অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে যায়। কিন্তু আবার সেই কৌস্তভ বাগচী প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী কুরুচিকর আক্রমণ করার পরেই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের বইকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই গাত্রদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের শাসকের। তাই এখন যেভাবেই হোক, বিশিষ্ট আইনজীবী তথা এই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির একটা সুকৌশলী ছক কষে ফেলেছে নবান্ন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারক যে নির্দেশ দিয়েছেন, যে নোটিশ কৌস্তভবাবুকে পাঠিয়েছেন, তাতে তিনি আদালতে গিয়ে কি বলেন এবং তারপর আদালত কি নির্দেশ দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।