প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। যার ফলে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে গিয়েছে। তবে পাকিস্তানকে যেমন শিক্ষা দেওয়া গিয়েছে, ঠিক তেমনই বিজেপি এবার টার্গেট করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। যেভাবেই হোক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অপারেশন সিঁদুরের পর এবার অপারেশন বাংলা প্রয়োগ করার হুংকার দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার তিনি সেই অপারেশন বাংলা সম্পর্কে যে তথ্য দিলেন, তা আরও ভয়ংকর এবং মারাত্মক হয়ে উঠতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে বলেই মনে করছেন একাংশ। যে কথা সুকান্তবাবু বললেন, তা অনুযায়ী যদি পদক্ষেপ হয়, তাহলে আগামী দিনে নির্বাচনে ঝড়ের মত উড়ে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এদিন আরও একবার অপারেশন সিঁদুরের মতই অপারেশন বাংলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী দিনে অপারেশন বাংলা হবে এবং এই অপারেশন বাংলার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের যে সমস্ত ইদুররা রয়েছে, যারা জনগণের টাকা কুরে কুরে খায়, তাদেরকে শায়েস্তা করা হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই হবে। চিন্তা করার কিছু কারণ নেই।” একাংশ বলছেন, সুকান্তবাবু এই ক্ষুদ্র বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা এতদিন দুর্নীতি করেছেন, এবার তাদের দুর্নীতির হিসাব নেবে জনতা। ২০২৬-এ যেভাবেই হোক, বিজেপি যে অপারেশন বাংলা প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে, তা ধীরে ধীরে একের পর এক বিজেপি নেতার আত্মপ্রত্যয়ী মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এবার যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসতে পারে, তাহলে আগামী দিনে তারা যে বাংলা থেকে একেবারেই মুছে যাবে, সেই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এবার আর মুখে কথা হবে না। কাজে করে দেখাবে গেরুয়া শিবির। এতদিন সাধারণ মানুষকে অনেক যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া গিয়েছে অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে। তবে বাংলাকে জবাব দিতে হবে অপারেশন বাংলা প্রয়োগ করে। আর সেই ফর্মুলা তৈরি তৃণমূলকে কি করে শায়েস্তা করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে বিজেপি। রাজ্যের মানুষ প্রস্তুত রয়েছে, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তৃণমূল নেতাদের পরাজয় ঘটবে এবং এই ফ্যাসিস্ট সরকার রাজ্য থেকে উৎখাত হবে বলেই দাবি করছে পদ্ম শিবির।
পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী নির্বাচন সত্যিই এই বাংলার মানুষের কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষা। বাংলার মানুষ বিকল্পের সন্ধানে রয়েছে। কোনোমতেই তারা তৃণমূলের এই সমস্ত দুর্নীতিকে আর প্রশ্রয় দিতে পারছেন না। তবে সাধারণ মানুষ চাইছেন, বিকল্প শক্তি হিসেবে কেউ একটা উঠে আসুক। ২০২১ এও তারা চেয়েছিলেন, রাজ্যে পরিবর্তন হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপির কিছু সাংগঠনিক ত্রুটি এবং তারা ময়দানে না থাকতে পারায় তৃণমূল নিজেদের ইচ্ছা মত ভোট লুট করে ক্ষমতায় বসে গিয়েছে বলেই অভিযোগ। তবে এবার যাতে সেরকম কিছু না হয়, তার জন্য পাকিস্তানকে যেভাবে জবাব দেওয়া গিয়েছে, ঠিক সেভাবেই বাংলাকে জবাব দিতে অপারেশন বাংলা প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। আর যদি ঠিকমত এই অপারেশন বাংলা প্রয়োগ হয়, তাহলে আগামী দিন তৃণমূল নেতাদের কপালে চরম দুঃখ অপেক্ষা করছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।