প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে কেউ ভাবতে পারেনি যে, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু সেই সময় যে রণনীতি স্থাপন করা হয়েছিল, তার মূল ক্রেডিট তাকেই দেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি না থাকলে কোনোমতেই ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার ক্ষমতায় আসতেন না বলেই দাবি করেন তারা। আর তিনি অন্য কেউ নন, তিনি হলেন প্রশান্ত কিশোর। বর্তমানে সেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতটা ঘনিষ্ঠতা নেই বলেই শোনা যায়। নিজের মত করে দল গঠন করে এবার আর কারও সঙ্গে জোট করে নয়, এককভাবেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন সেই প্রশান্ত কিশোর।
বলা বাহুল্য, সামনেই বিহার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। এখানে কোন দল কিভাবে প্রার্থী দেবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে। তবে প্রশান্ত কিশোর যে দল গঠন করেছেন, সেই জন সুরজ পার্টির সিদ্ধান্তের দিকে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন। বিজেপি না কংগ্রেস, কার সঙ্গে তিনি জোট করবেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। তবে অবশেষে সেই প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিলেন, সমস্ত আসনেই প্রার্থী দেবে তার দল। এক্ষেত্রে এককভাবেই লড়াই করার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক কি বলেছেন প্রশান্ত কিশোর?
এদিন খাগরিয়ায় ভোট প্রচারে যান প্রশান্ত কিশোর। আর সেখানেই তিনি বড় ঘোষণা করেন। একসময়ের বিশিষ্ট ভোট কৌশলী বলেন, “বিজেপি, জেডিইউ, এলজিপি, কংগ্রেস, আরজেডি, বামেদের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলবে তার দল। বিহার বিধানসভায় ২৪৩ টি আসনেই প্রার্থী দেবে জন সূরজ পার্টি।” কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রশান্ত কিশোর? নতুন দল তিনি গঠন করেছেন! সেক্ষেত্রে অন্য কারও সঙ্গে জোট করলে তো তার মনে হয় বেশি সুবিধে হত। তাহলে তিনি এককভাবে কেন লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুঝেশুনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কারণ গোটা বিহারের মানুষের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সেভাবে ভরসা নেই। তারা বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, জেডিইউ থেকে শুরু করে আরজেডির সরকারকে প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে বিহার অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে হাত মেলালে সেই দলের বদনামের ভাগীদার হতে পারে প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টি। আর সেই কারণেই সুক্ষ রাজনৈতিক কৌশলকে মাথায় নিয়ে এককভাবে লড়াই করে সাফল্য পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন তিনি। তবে একদিকে এনডিএ, অন্যদিকে কংগ্রেস, আরজেডি, লোক জন শক্তি পার্টি, জেডিইউ সবাইকে পেছনে ফেলে প্রশান্ত কিশোরের এই দল কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।