প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই রাজ্যের শাসক দলের কি বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই? একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও সেই সমস্ত ঘটনায় নিজেদের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যিনি হিন্দুদের রক্ষাকর্তা হিসেবে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করছেন, তাকে আক্রমণ করতে গিয়ে একের পর এক এমন সমস্ত কাণ্ডকারখানা করে বসছে তৃণমূল, যাতে তারা নিজেরাই হাসির পাত্র হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই প্রয়োগ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি ছবি পোস্ট করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আর তার এই পোস্ট ঘিরেই এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একজন হিন্দুর সন্তান সম্পর্কে তিনি কি করে এই ধরনের রুচিহীন পোস্ট করতে পারেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, কি করে এই ভাইপো বাহিনীকে শায়েস্তা করতে হয়, সেই ট্রিটমেন্টও তিনি যে তৈরি করে রেখেছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

 

জানা গিয়েছে, গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার একটি ছবি, যা এআই প্রয়োগ করে পোস্ট করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আর সেই ছবি ঘিরেই রীতিমত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীই তো তৃণমূলের এখন প্রধান গাত্রদাহের কারণ। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে চাপে রাখছেন, যেভাবে ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করছেন, তাতে তার বিরুদ্ধে কুৎসা করতে হবে, অপপ্রচার করতে হবে, এটাই তো তৃণমূলের এখন প্রধান লক্ষ্য। আর সেই কারণেই তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে এই ধরনের আপত্তিকর পোস্ট করে নিজেদের বড় করে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে এই সমস্ত কিছু করে নিজেদের বড় করার থেকেও যিনি হিন্দুদের হয়ে লড়াই করছেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীকে খাটো করতে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কেই অপমান করছে তৃণমূল বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।

 

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অত্যন্ত নিম্নমানের। এআই প্রয়োগ করে তৃণমূলের এই কর্মচারী এই কাজটা ভাইপোর কথায় করেছে। আমি মুখে কিছু বলব না। আমি ওর মালিককে হারিয়েছি, মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়েছি। তাই ওর সম্পর্কে বললে ওর মাইলেজ বেড়ে যাবে। ও তো আগে চুন আর ব্লিচিং সাপ্লাই করত। একজন হিন্দু বাড়ির ছেলেকে যেভাবে আস্থায় আঘাত করেছে, তার ফল ওকে ভুগতে হবে।” অন্যদিকে তিনি কোনভাবেই চুন ব্লিচিং সাপ্লাইয়ের সঙ্গে জড়িত নন। তাই এই সমস্ত কথা ভবিষ্যতে বললে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনৈতিক তরজা নিজেদের মত করে চলবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো নিজেও ব্রাহ্মণের সন্তান। ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। সনাতনী সংস্কৃতিকে তিনি বিশ্বাস করেন। সেক্ষেত্রে তার সম্পর্কে এআই প্রয়োগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের রুচিহীন পোস্ট কেন করবে তৃণমূল নেতৃত্ব? এটা কি খুব সভ্যতা এবং শিক্ষার পরিচয়? যে তৃণমূল কথায় কথায় বলে ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত নয়, সেখানে এই ধরনের রুচিহীন পোস্ট করে কোনো একটি ধর্মকে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা কেন তৃণমূলের পক্ষ থেকেই আগে শুরু হলো? তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী এবং তার সঙ্গে যেহেতু হিন্দুরা একত্রিত হয়েছে, সেটা দেখে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? আর সেই কারণেই ভাইপো বাহিনীর এই জঘন্য চক্রান্ত? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।