প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে হাইকোর্ট, একের পর এক ঘটনায় আদালতে রীতিমত ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি তারা এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে এর মধ্যেই ওবিসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এসএসসির যে নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেখানে বড় সংশোধন করা হলো। অর্থাৎ আদালতের থ্যাতানির মুখে পড়েই এসএসসির নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে সংশোধন করতে বাধ্য হলো রাজ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের পক্ষ থেকে যে ১৪৪ টি জনজাতিকে নিয়ে ওবিসি সংরক্ষণের নতুন তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আর তার ফলেই নানা নিয়োগ থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে ওবিসিদের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়েও তৈরি হয় জটিলতা। যার ফলে এবার এসএসসির পক্ষ থেকে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেখানেও কিছুটা সংশোধন আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেনারেল প্রার্থীদের মতোই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে হবে ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের এক্ষেত্রে তাদেরও ৫০০ টাকা দিয়েই আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে এসএসসির এই সিদ্ধান্ত কেন? তাদের বক্তব্য, ওবিসি মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আর সেই কারণেই তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংশোধন আনতে বাধ্য হয়েছে। এক্ষেত্রে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেলেই তারা আবার আবেদনপত্রে তাদের নতুন নির্দেশ জারি করবে.

বলা বাহুল্য, আদালতের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ সামনে এসেছে, তাতে ২০১০ সালের পর যারা ওবিসি তালিকায় সংযুক্ত হয়েছিলেন, তাদের নাম সেখান থেকে বাতিল করা হয়েছে। আর এর ফলেই রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই ওবিসি মামলার কারণে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরেই এবার শীর্ষ আদালতে গিয়েছে নবান্ন। আর তার মধ্যেই যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে যাতে আর নতুন করে কোনো জটিলতা তৈরি না হয় এবং তারা যাতে সবকিছু মেনেই এই বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে, তার জন্য ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো সুবিধে রাখা হলো না এসএসসির নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে।

বিরোধীদের দাবি, এমনিতেই তো নিয়োগ দুর্নীতিতে অত্যন্ত চাপে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। তার মধ্যে এসএসসির এই নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যদি বিন্দুমাত্র কোনো খামতি ধরা পড়ে, তাহলে তারা আদালতে আবার ধাক্কা খেতে পারে। কেউ না কেউ তাদের এই অনিয়মের কথা তুলে ধরে আদালতে মামলা করতে পারে। আর তারপরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার কারণে চরম চাপে পড়ে যেতে পারে রাজ্য এবং এসএসসি। আর সেই কারণেই সময় থাকতে থাকতেই আদালতের থ্যাতানি খাওয়ার ভয়ে নিজেদের বিপদ থেকে বাঁচাতে ওবিসি মামলার কারণে হাইকোর্টের যে স্থগিতাদেশ রয়েছে, তা মেনে এসএসসির যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, তাতে কিছুটা সংশোধন নিয়ে আসা হলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা