প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যেভাবেই হোক, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে হবে। বিরোধী দলের অনেক নেতা তার পক্ষে চলে এলেও, শুভেন্দুবাবু কোনোমতেই তার পক্ষে আসছে না। আর এটাই যেন গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিভিন্ন সভা, সমিতিতে সেই কথাই বলে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দল বদলানোর পর যেভাবে তাকে বিভিন্ন মামলায় যুক্ত করা হয়েছে এবং যেভাবে তিনি শাসকের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্তকে আটকে দিয়ে একের পর এক মামলায় জয়যুক্ত হয়েছেন, তারপর সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও বেশি করে চক্রান্তের ব্লু প্রিন্ট সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই অভিযোগ বিজেপির। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার কি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গেল বড়সড় চক্রান্ত? কি ঘটনা ঘটেছে? কেন এমনটা বলা হচ্ছে?
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম শুভেন্দু অধিকারীকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তার অভিযোগ, সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে এই তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা কুৎসা করেছেন বলেই দাবি সামিরুলবাবুর। আর সেই কারণেই আইনজীবী মারফত রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমত সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে এই মিথ্যা কুৎসা করার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তা না হলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
বিজেপির দাবি, শুভেন্দুবাবু যেদিন থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, সেদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বেড়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাওয়ার পর তিনি আরও বেশি করে প্রতিহিংসার রাজনীতির মধ্যে দিয়ে কি করে তাকে জব্দ করা যায়, তার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিন্দুমাত্র সুযোগ ছাড়ছে না তৃণমূল। তাই এক্ষেত্রেও শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে এসব করে কোনো লাভ হবে না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল রীতিমতো দিশেহারা, ক্রমাগত বিজেপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তার কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা। তাই সেই সমস্ত আতঙ্ক এবং ভয়েই কি করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাপে রাখা যায়, তার জন্য তৃণমূলের এই জঘন্য চক্রান্ত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তবে তৃণমূল সাংসদ যে আল্টিমেটাম শুভেন্দু অধিকারীকে বেধে দিয়েছেন, যেভাবে তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।