প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার শুরু হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতা। এতই অসুখ তার যে, পুলিশ কর্তাকে কদর্য ভাষায় হুমকি দিতে পারেন, অশ্লীল ভাষায় তার মা-বউ তুলে গালিগালাজ করতে পারেন, কিন্তু এত বড় অন্যায় করার পরেও পুলিশের মুখোমুখি জেরায় উপস্থিত হতে পারেন না! রাজ্যের মানুষ সত্যিই আর গোটা বিষয়টা নিতে পারছে না। তারা প্রচন্ডভাবে বিরক্ত পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তায়। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার মত ক্ষমতা দেখাতে পারছে না কিছুতেই। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ওপরতলা থেকে হয়ত পুলিশের কাছে নির্দেশ আছে যে, এখনই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না! আর এই পরিস্থিতিতে এবার মেডিকেল রিপোর্ট জমা হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই ভাইরাল অডিও ক্লিপের ঘটনায় দুবার অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল জেরা করবার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি সেখানে যাননি। তারপরেও পুলিশ সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছে। অথচ এটা যদি বিরোধীদের কেউ করতো, তাহলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে দিত। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে সেটা করার ক্ষমতা এই রাজ্যের পুলিশের হয়নি বলেই দাবি বিরোধীদের। বর্তমানে তার একটি মেডিকেল রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। যেখানে পাঁচ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কোথা থেকে এই আজগুবি মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে তা জমা করা হলো? আর যাদের কাছে জমা করা হলো, তারাই বা কেন সেটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন! আর এর পেছনে যে সবটাই সেটিং রয়েছে মোদ্দাকথা যে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা যাবে না, সেটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে সকলের কাছেই।
বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন যে, কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায়। তাই ওর সব কথাকে ওইভাবে ধরবেন না। তাই তার পুলিশকে এত অশ্লীল গালিগালাজ করার পরেও কেষ্টর হয়ত তখন অক্সিজেনের অভাব পড়েছিল। তাই তিনি এই ধরনের কথা বলেছেন। পরবর্তীতে পুলিশ অ্যাকশন নিতেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই এখন মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিয়ে যেভাবেই হোক, একটা বাঁচার নাটক চলছে। আসলে পুলিশও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কারণ ওপরতলার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ এক পাও চলতে পারবে না। তবে মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই তার জন্য তো একটা কারণ দেখাতে হবে। সেই জন্যই কেষ্ট মন্ডল একটা মেডিকেল রিপোর্ট বানিয়ে ৫ দিনের বিশ্রামের কথা সেই রিপোর্টে লেখা রয়েছে, এরকম একটা গল্প ভালো করেই ফেঁদে ফেলেছেন। কিন্তু এসব কিছুই যে গল্প, এর পেছনে যে বিন্দুমাত্র বাস্তব নেই, তা ধরে ফেলেছে বিরোধীরা।
কিন্তু সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, মেডিকেল রিপোর্টে যে পাঁচ দিনের বিশ্রামের কথা বলা হয়েছে, সেখানেও তো একটি একটি করে দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে কেষ্ট মন্ডলের দুয়ারে তো বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এবার তো তাকে হয় হাজিরা দিতে হবে, তা না হলে বেল নিতে হবে! ফলে তিনি কি করবেন? আজকে তিনি জামিনের জন্য আবেদন করবেন, নাকি অন্যান্য দিনের মতই গৃহবন্দী রাখবেন নিজেকে! গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছে গোটা রাজনৈতিক মহল।