প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা দেশ জুড়েই বর্তমানে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় যে তথ্য সামনে আসছে, তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে। এখনও পর্যন্ত বিন্দুমাত্র সচেতনতা সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। এবারে যে ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে হয়তো মারন ক্ষমতা অনেক কম। কিন্তু যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তো আবার প্রয়োজন হয়ে পড়বে একাধিক বিধিনিষেধের। আর তখন মানুষকে বিপদে ফেলে কি এই রাজ্য নিজের ইচ্ছামত লকডাউনের ঘোষণা করে দেবে? তাই সময় থাকতেই কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? কেন মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে না? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের দিক থেকে দিল্লির পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬১ টি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের চিন্তা বাড়িয়ে করোনার এই পর্বে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। যার বয়স ৪৩ বছর। আর চলতি বছরে এই প্রথম করোনার জন্য পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। তবে বর্তমান ভাইরাসকে অতি সহজেই আটকানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য যে সচেতনতা প্রয়োজন, তা কেন এখনও তৎপরতার সঙ্গে পালন করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে সংশয়।
সমালোচকরা বলছেন, এই সরকারের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য তো একটাই, সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলা। যখন করোনা আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে, যখন দেখা যাচ্ছে যে, তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে, তখন আগে থেকেই যদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তো তা মারাত্মক আকার নেয় না। কিন্তু এখন এই সরকার কোনো কিছুই গায়ে লাগাচ্ছে না, যখন পরিস্থিতি বেগতিক আকার ধারণ করবে, তখন তারা লকডাউনের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। আর তখন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তো কোনো চিন্তা নেই। চিন্তা তো এই গরিব মানুষদের, যারা দিন আনা দিন খাওয়া লোক, তারা লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন, আর নিজের পরিবারকে নিয়ে সর্বস্বান্ত হবেন। তাই সময় থাকতেই কেন সরকার সচেতনতামূলক বিধি নিষেধ জারি করে মানুষকে করোনাকে দমন করানোর বার্তা দিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও।