প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ সকলেই বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই বলা হয় যে, বিএসএফ সীমান্ত পাহারা দেয়, তাদের গাফিলতির জন্যই ওপার বাংলা থেকে এপারে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার জন্য যে জমি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে যাওয়া হয়েছিল, তা রাজ্য সরকার দেয়নি। আর তার জন্যই যে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এসবের মধ্যেই এবার বাংলা যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হয়ে যাওয়ার পথে, বিরোধীরা যে অভিযোগ করে, তা কি বাস্তব রূপ নিতে চলেছে?

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের দিনহাটা থেকে যে খবর আসছে, তা অত্যন্ত মারাত্মক। জানা গিয়েছে যে, দিনহাটার ফলিমারি স্টেশনের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ জন বাংলাদেশীকে। আর তাদের কাছ থেকে যে তথ্য এসেছে, তা তো আরও ভয়ংকর। প্রায় ৫ বছর আগে এই সমস্ত বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪ জন মহিলা এবং ৬ জন শিশু এই ভারতে এসেছিল। যেখানে দিল্লী এবং নয়ডার মত এলাকায় গিয়ে তারা বিভিন্ন কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়। আর এবার সেই সমস্ত বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে আবার বাংলাদেশে ফেরার পথেই তাদের গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।

বিরোধীদের দাবি, এতদিন পর কেন এই রাজ্যের প্রশাসনের তা নজরে এলো? আসলে অনুপ্রবেশ ঘটানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্রশ্রয় দিয়েছে এই রাজ্যের প্রশাসন। বারবার তাদের কাছে কেন্দ্র জমি চেয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য। অমিত শাহও রাজ্যে এসে সেই কথা বলেছেন। কিন্তু তারপরেও রাজ্য থেকে এই ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হওয়ার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, ভোটব্যাংকের জন্য এই রাজ্যের কত বড় ক্ষতি করছে নবান্ন বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, তাহলে নিজের রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য, নিজের দেশকে বাঁচানোর জন্য আগে সীমান্ত সুরক্ষার দিকে নজর দিক রাজ্য সরকার। অবশ্যই সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের। কিন্তু রাজ্যের কিছু কর্তব্য থাকে। অনুপ্রবেশ বন্ধ করার ইচ্ছে থাকলে অবিলম্বে কেন্দ্র যে জমি চাইছে, তা রাজ্য সরকারের দিয়ে দেওয়া উচিত। তাহলেই বাকিটা কেন্দ্রীয় সরকার বুঝে নেবে যে, কি করে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য থেকে এত বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন অনুপ্রবেশ সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে জমি প্রদান না করে, তাহলে তাদের গোপন এজেন্ডা মানুষের সামনে ভয়ংকর ভাবে ফাঁস হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।