প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা কি করে পাকিস্তানের কোমর ভাঙতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাদের দিকে মুখ তুলে তাকালে শত্রু দেশকে কোনোমতেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। যেভাবে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে সবক শেখানো হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতেও যদি পাকিস্তান আবার এই জঙ্গি উপদ্রবের মত কার্যকলাপ করতে আসে, তাহলেও তাদের আরও ভয়ংকর ভাবে সবক শেখানো হবে। ইতিমধ্যেই সেই কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যেকের গলায়। ভারতবাসী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অপারেশন সিঁদুর চালানো নিয়ে সকলেই গর্বিত। কিন্তু এবার কি আরও বড় কোনো সিদ্ধান্ত হতে চলেছে? পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি আরও বড় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত?
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক হতে চলেছে। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর যেহেতু অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম এই বৈঠক হচ্ছে, সেদিক থেকে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। আবার কি বড় কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে এই বৈঠক থেকে, সেই ব্যাপারেও তৈরি হয়েছে জল্পনা।
গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে যে, পাকিস্তানকে কোনোমতেই রেয়াত করা যাবে না। যারা দেশের ক্ষতি পড়বে, তাদের সঙ্গে কোনো রকম যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়েছে। পাকিস্তান যদি ভেবে থাকে যে, তারা আবার ভারতের প্রতি আক্রমণ চালাবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। তাই নরেন্দ্র মোদী যখনই যে বৈঠক করুক না কেন, সেটা দেশের পক্ষে এবং দেশের মানুষের স্বার্থেই হবে এবং সেই বৈঠক থেকে যদি বড় কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে তা যথা সময় দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই মনে করছেন তারা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, অপারেশন সিঁদুরের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এই বৈঠক থেকে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে হয় না। তবে প্রকৃত দেশনায়ক হিসেবে নরেন্দ্র মোদী একটা স্ট্যান্ড নিয়ে নিয়েছেন। ভারতের প্রতি কেউ চোখ তুলে তাকালে ভারত তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না। শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো রকম রেয়াত করা হবে না, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। তাই অপারেশন সিঁদুরের পর নরেন্দ্র মোদীর ডাকা এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের এই বৈঠক যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছে দেশবাসী।